Advertisement
E-Paper

দম্পতির আত্মহত্যা মামলায় অভিযুক্তের পুলিশি হেফাজত, ধৃত জলপাইগুড়ির যুব তৃণমূল সভাপতি

আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ঘটনায় চার জন অভিযুক্ত ছিলেন। তিন জন গ্রেফতার হলেও জামিনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন সৈকত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০২:০২
An image of Saikat Chatterjee

জলপাইগুড়ি তৃণমূলের যুব সভাপতি তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

এক দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জলপাইগুড়ির তৃণমূল যুব সভাপতি তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সোমবার জামিন নাকচ করে তাঁকে দু’দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ির মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের (সিজেএম) আদালত।

চলতি বছরের ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি শহরের পাণ্ডাপাড়ার বাসিন্দা সুবোধ ভট্টাচার্য এবং অপর্ণা ভট্টাচার্য আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ঘটনায় চার জন অভিযুক্ত ছিলেন। তিন জন গ্রেফতার হলেও জামিনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন সৈকত। গত ১৬ জুন, হাই কোর্টে জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যেতেই গ্রেফতার এড়াতে ‘গা ঢাকা’ দেন তিনি। এর পর ১৬ অক্টোবর সোমবার, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেলা আদালতে হাজির হন সৈকত। সিজেএম আদালতে জামিনের আবেদন জানান তিনি। জামিনের আবেদন নাকচ করে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আপাতত আগামী দু’দিন পুলিশ হেফাজতে থাকতে হবে সৈকতকে। আগামী ১৮ অক্টোবর আদালত আবার তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে।

সূত্রের খবর, সোমবার আদালতে দীর্ঘ ক্ষণ শুনানি পর্ব চলে। সওয়াল জবাবে সৈকত নিজেই অংশগ্রহণ করেন। সন্ধ্যা ৭টার পর আদালত নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশের পর সৈকত বলেন, “আমি ভারতীয় জনতা পার্টির চক্রান্তের শিকার।” সৈকতের আইনজীবী সন্দীপ দত্ত জানান, ১৮ অক্টোবর আবার তাঁর জামিনের আবেদন করা হবে।

যদিও, সৈকতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যামপ্রসাদ। তিনি বলেন, “সৈকত ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।”

Saikat Chatterjee TMC Jalpaiguri Couple Suicide
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy