Advertisement
E-Paper

বর্ষায় বানভাসি মরা তোর্সা লাগোয়া এলাকা

কচুরিপানা থেকে প্লাস্টিক সামগ্রী এবং নানা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে নদী খাত। এক জেরে স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে মরা তোর্সা। বর্ষার সময় জল উপচে ভেসে যাচ্ছে কোচবিহার সদর মহকুমার টাকাগছ ও লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৬ ০১:২০

কচুরিপানা থেকে প্লাস্টিক সামগ্রী এবং নানা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে নদী খাত। এক জেরে স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে মরা তোর্সা। বর্ষার সময় জল উপচে ভেসে যাচ্ছে কোচবিহার সদর মহকুমার টাকাগছ ও লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকা।

শুক্রবার থেকে নদীর জল ঢুকে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরে ও উঠোনে। জলে ডুবে গিয়েছে এলাকার একাধিক রাস্তাও। বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করে ওই নদী সংস্কারের দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। শনিবার বিকেলে মরা তোর্সা লাগোয়া কুর্শিপাড়া এলাকা পরিদর্শনে যান কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “মরা তোর্সার পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসন, সেচ দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।’’ সংস্কার করে মাছ চাষের ব্যাপারেও মৎস্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “ওই নদীর জল বহু বাড়িতে ঢুকছে। নদীর নাব্যতা বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে।’’

আলিপুরদুয়ারের সোনাপুর লাগোয়া খয়েরবাড়ি থেকে তোর্সা নদীর মূল প্রবাহপথ থেকে বেরিয়েছে মরা তোর্সার প্রবাহ। প্রায় ৪০ কিমি পথ পেরিয়ে ফের মূল তোর্সাতেই মিশেছে সেটি। মরা তোর্সার অধিকাংশ মজে পানা পুকুরের চেহারা নিয়েছে। বাসিন্দারা জানান, এক দশক আগেও মরা তোর্সার নাব্যতা যথেষ্ট ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন নদী খাত সংস্কার না হওয়ায় তা ক্রমশ কমছে। গত কয়েক বছরে নাব্যতা তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফলে বর্ষায় তোর্সা ফুঁসে উঠলেই সেই জল ঢুকে পড়ছে মরা তোর্সায়। তাতেই লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। কোচবিহার মান্টু দাসগুপ্ত পল্লির এক বাসিন্দা রাজকুমার ঠাকুর বলেন, “ওই নদীর জল স্লুইস গেটের ভাঙা অংশ দিয়ে কোনও ভাবে পুরসভার কিছু এলাকাতেও ঢুকছে।’’ টাকাগছের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, নদীর নাব্যতা ফেরানোর ব্যাপারে কোনও মহলের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

সেচ দফতরের দাবি, সমস্ত স্লুইস গেট ঠিকঠাক রয়েছে। ফলে ওই দিক থেকে জল ঢোকার অভিযোগ ঠিক নয় বলে জানানো হয়েছে তাঁদের তরফে। কোচবিহারের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র স্বপন সাহা বলেন, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে নাব্যতা বাড়ানোর ব্যাপারে প্রকল্প তৈরি করা হবে।”

torsa river
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy