Advertisement
E-Paper

বেঙ্গল সাফারি পার্কে আনা হচ্ছে দু’টি ভালুকও

সপ্তাহ খানেকের মধ্যে দার্জিলিঙের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্ক থেকে দু’টি ভালুক আসতে চলেছে। স্বাভাবিক জঙ্গলে তাদের থাকার প্রস্তুতিও শেষ।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৫৯
পর্যটন: বেঙ্গল সাফারি পার্ক। —ফাইল চিত্র।

পর্যটন: বেঙ্গল সাফারি পার্ক। —ফাইল চিত্র।

নতুন অতিথিদের আসার কথা ছিল কিছু দিন আগেই। দার্জিলিং পাহাড় পরিস্থিতির জেরে পিছিয়ে যায় তাদের ‘বাড়ি’ বদলের সফরও। বর্তমানে শৈলশহরের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তাই শীত ও বড়দিনের মরসুমে কচিকাঁচা থেকে বড়দের ‘বেঙ্গল সাফারি পার্কে’র আকর্ষণ বাড়তে, দু’জন অতিথি পাহাড় থেকে আসছেন সমতলে। ওরা দুটি কালো ভালুক বা হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার।

সপ্তাহ খানেকের মধ্যে দার্জিলিঙের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্ক থেকে দু’টি ভালুক আসতে চলেছে। স্বাভাবিক জঙ্গলে তাদের থাকার প্রস্তুতিও শেষ। বাসিন্দাদের দেখানোর পরিকাঠামোও তৈরি। শুধু আসার পর আরও দিন ৭ নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে পার্কে। সেই সঙ্গে নতুন বছরের শুরুতেই পার্কে জুড়বে আরেকটি সাফারি-লেপার্ড সাফারি। এখন পার্কে বিভিন্ন পশু পাখির সঙ্গে রয়াল বেঙ্গল টাইগারের দর্শন বা হাতির পিঠে চড়ে জঙ্গলে ঘোরার আনন্দ তো রয়েছেই। রবিবার, সকাল থেকে মেঘলা আকাশ, ঠান্ডা হাওযায় শীতের আমেজের মধ্যে পার্কে ভিড় উপচে পড়ে।

বেঙ্গল সাফারির ডিরেক্টর অরুণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কালো ভালুক দুটি যে কোনওদিন পাহাড় থেকে এসে যাবে। আমাদের সমস্ত ধরনের প্রস্তুতি শেষ। আশা করছি, বাঘ, হাতির সঙ্গে ওরাও বাসিন্দাদের মন জয় করে নেবে।’’

গত ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ২৯৭ হেক্টর স্বাভাবিক জঙ্গল ঘিরে তৈরি বেঙ্গল সাফারির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে হরিণ, সম্বর, গন্ডার, ময়ূর-সহ বিভিন্ন ধরনের পশুপাখিদের আনা হন। তার পরে তৈরি হয় কুমির ও ঘড়িয়ালদের জলাশয়। কলকাতা চিড়িয়াখানা থেকে আনা হয়, দুই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে।

পুজোর আগেই ডুয়ার্স থেকে দুটি হাতি এনে চালু হয়ে গিয়েছে হাতি সাফারিও। এসেছে সাদা ময়ূর, জঙ্গলক্যাট, বুনো শুয়োর-সহ নানা জন্তু। পার্কের অফিসারেরা জানান, এর পরেই ধাপেই ভালুকের সাফারি চালু হবে বলে ঠিক হয়। মাস দু’য়েক আগেই পরিকাঠামো তৈরিও হয়ে যায়।

কিন্তু পাহাড়ে গোলমাল শুরু হতেই একটি পুরুষ এবং একটি মহিলা ভালুকের আসা পিছিয়ে যায়। নিরাপত্তার কথা ভেবে বন্‌ধের মধ্যে খাঁচা, ট্রাক নিয়ে নীচে দু’টিকে নামাতে চাননি বন কর্তারা। দার্জিলিং চিড়িয়াখানার তরফেও অপেক্ষা করার কথা বলা হয়। এ বার ওদের আসা চূড়ান্ত হয়েছে। শীতও পড়তে শুরু করেছে। নীচে এসে বুনো দু’টির মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না। পরবর্তীতে সংখ্যাটা ৬টি করে বাড়ানো হবে।

bears Bengal Safari Park
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy