Advertisement
E-Paper

ন্যাক মূল্যায়নে স্কোর বাড়ল দুই কলেজের

ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (ন্যাক) মূল্যায়নে স্কোর বাড়াল কোচবিহারের দু’টি কলেজ। কোচবিহার কলেজ ও হলদিবাড়ির নেতাজি সুভাষ মহাবিদ্যালয়ের এ বার ‘গ্রেড’ এগিয়েছে। তুফানগঞ্জ কলেজের ‘গ্রেড’ অবশ্য আগের মূল্যায়নের তুলনায় খানিকটা নেমেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫৩
কোচবিহার কলেজ। — নিজস্ব চিত্র

কোচবিহার কলেজ। — নিজস্ব চিত্র

ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (ন্যাক) মূল্যায়নে স্কোর বাড়াল কোচবিহারের দু’টি কলেজ। কোচবিহার কলেজ ও হলদিবাড়ির নেতাজি সুভাষ মহাবিদ্যালয়ের এ বার ‘গ্রেড’ এগিয়েছে। তুফানগঞ্জ কলেজের ‘গ্রেড’ অবশ্য আগের মূল্যায়নের তুলনায় খানিকটা নেমেছে।

কলেজ সূত্রের খবর, ৫ নভেম্বর ন্যাকের ওয়েবসাইটে এ বছরের দ্বিতীয় দফার মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে বি ডবল প্লাস গ্রেড পেয়ে কোচবিহার কলেজ ২.৭৮ স্কোর করেছে। মেখলিগঞ্জ মহকুমার হলদিবাড়ির নেতাজি সুভাষ মহাবিদ্যালয়ের স্কোর ২.৫৫। গ্রেডের বিচারে তারা পেয়েছে বি প্লাস। তুফানগঞ্জ কলেজের গ্রেড বি প্লাস থেকে কমে বি হয়েছে। তাদের স্কোর ২.২০।

কোচবিহার কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, “ন্যাকের মূল্যায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বশেষ মূল্যায়নে স্কোর অনেকটাই বেড়েছে। এটা বড় প্রাপ্তি। আমরা দারুণ খুশি।” হলদিবাড়ির নেতাজি সুভাষ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ তরুণ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “২০০৭ সালের মূল্যায়নে কলেজ সি ডবল প্লাস গ্রেড পেয়েছিল। এ বার অনেকটাই এগিয়ে বি প্লাস গ্রেড হয়েছে। এটা কলেজের সকলের প্রচেষ্টার সাফল্য।”

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বরাদ্দ, পাঠ্যক্রম অনুমোদন, চালু রাখা কিংবা তুলে নেওয়ার মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ন্যাকের মূল্যায়নের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন কলেজে ওই মূল্যায়ন করা হয়। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে এ রাজ্যের বেশ কিছু কলেজে মূল্যায়নকারী প্রতিনিধি দলের সদস্যরা যান। সরেজমিনে কলেজ ঘুরে দেখার পাশাপাশি কলেজগুলির শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ প্রশাসন, পরীক্ষার ফলাফল-সহ বিভিন্ন দিক তাঁরা খতিয়ে দেখেন। সব কিছু খতিয়ে দেখেই পৃথক পৃথক ভাবে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হয়। তুফানগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আগের মূল্যায়নের সাফল্য আমরা প্রায় ধরে রেখেছি। ২০০৭ সালে বি প্লাস গ্রেড হয়েছিল। এবার বি গ্রেড হয়েছে। কেন এটা হল তা দেখতে হবে।”

কলেজগুলিতে অবশ্য নানা সমস্যা রয়েইছে। কোচবিহার কলেজে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৭০০ জন। ১৪টি বিষয়ে অনার্স পড়ার সুযোগ রয়েছে। স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে শিক্ষক সংখ্যা ৫১ জন। এডুকেশন, অঙ্ক-সহ একাধিক বিষয়ে স্থায়ী শিক্ষক নেই। শিক্ষকদের মোট ৮টি স্থায়ী পদ খালি হয়ে রয়েছে। হলদিবাড়ির নেতাজি সুভাষ মহাবিদ্যালয়েও সমাজবিদ্যা, ভূগোল, সংস্কৃত তিনটি বিষয়ে স্থায়ী শিক্ষক নেই। আংশিক সময়ের কিংবা অস্থায়ী শিক্ষকরাই মূল ভরসা। ওই কলেজে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় চার হাজার। তুফানগঞ্জ কলেজেও স্থায়ী শিক্ষকের ন’টি পদ খালি রয়েছে।

NAAC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy