Advertisement
E-Paper

মালদহে তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে দু’জনকে গ্রেফতার পুলিশের, ধৃতদের মধ্যে এক জন বিহারের বাসিন্দা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মালদহে পৌঁছেছেন ফিরহাদ। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের থেকে তিনি গ্রেফতারির খবর পেয়েছেন। ধৃতদের পুলিশ জেরা করছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৫
(বাঁ দিকে) দুলালচন্দ্র সরকার। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে হামলার ছবি (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) দুলালচন্দ্র সরকার। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে হামলার ছবি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

তৃণমূলের মালদহ জেলা সহ-সভাপতি তথা কাউন্সিলর দুলালচন্দ্র সরকার ওরফে বাবলাকে খুনের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন বিহারের বাসিন্দা এবং অন্য জন মালদহের ইংরেজবাজারের বাসিন্দা বলে জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। গ্রেফতারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সম্ভব জৈন।

বৃহস্পতিবার দুলালের খুনের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মালদহে পৌঁছেছেন ফিরহাদ। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের থেকে তিনি গ্রেফতারির খবর পেয়েছেন। ধৃতদের পুলিশ জেরা করছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম হল মহম্মদ সামি আখতার, টিঙ্কু ঘোষ। আখতার বিহারের কাটিহারের আজমনগরের বাসিন্দা। তাঁর বয়স ২০ বছর। টিঙ্কু ইংরেজবাজারের জাদুপুর গাবগাছির বাসিন্দা। তাঁর বয়স ২২ বছর।

বৃহস্পতিবার সকালে ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়ার কাছে নিজের প্লাইউড কারখানার কাছে দাঁড়িয়েছিলেন দুলাল। তিনি ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। বাইকে চেপে এসে তিন জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। একটি গুলি দুলালের মাথার কাছে লাগে। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

দুলালের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “আমার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং জনপ্রিয় নেতা বাবলা সরকার আজ খুন হয়েছেন।” একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “তৃণমূলের গোড়ার দিন থেকে উনি (বাবলা) এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালি সরকার দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। বাবলা কাউন্সিলর হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছেন। এই ঘটনার কথা জেনে আমি দুঃখিত এবং হতবাক। অপরাধীদের দ্রুততার সঙ্গে ধরা উচিত।” এই নিয়ে নবান্নে পুলিশের দিকেও আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকের শুরুতে দুলালের খুনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘অবশ্যই পুলিশের গাফিলতিতে খুন হয়েছে। ওর উপর আগেও আক্রমণ করা হয়েছিল। আগে নিরাপত্তা পেত। পরে সেটা তুলে নেওয়া হয়।” রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ এবং সাবিনা ইয়াসমিনকে মালদহে যাওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরেই মালদহে পৌঁছন ফিরহাদ। তার পরে দু’জনের গ্রেফতারির খবর দেন।

Maldah TMC FirhadHakim
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy