দিনেদুপুরে জমজমাট বাজারে গুলিতে জখম হলেন দুই যুবক। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের তালসুর বাজারে বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূলের পুরনো বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ দুই যুবককে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে, পরে সেখান থেকে তাঁদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে।
দু’জনেরই পায়ে গুলি লাগে এ দিন। প্রথমে তিন রাউন্ড ও কিছুক্ষণ বাদে আরও তিন রাউন্ড মিলিয়ে ছয় রাউন্ড গুলি চলেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। দুই যুবককে চোখের সামনে গুলিতে লুটিয়ে পড়তে দেখে আতঙ্কে নিমেষে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। কারা গুলি চালিয়েছে তা নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলের চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তবে সন্ধে পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরনো বিবাদকে ঘিরেই ঘটনাটি ঘটেছে। এলাকায় তল্লাশি চলছে। সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শ্যালক মনিরুল ইসলাম কংগ্রেস প্রার্থী হওয়ার মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য জামাইবাবু নাইমুল হককে তৃণমূলের একাংশ চাপ দেয়। রাজি না হওয়ায় নাইমুলকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুলি করা হয়। ওই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী মহম্মদ ইশা, তার ভাই ইউসুফ আলি-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। এ দিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী মনিরুল জয়ী হন। যদিও দিনকয়েক আগে বোর্ড গড়ার সময় মনিরুল তৃণমূলের পক্ষে ভোট দিলেও তিনি তৃণমূলে যোগ দেননি বলে দাবি তৃণমূলের।