E-Paper

পর পর খুলছে দু’টি চা বাগান, স্বস্তি পাহাড়ে

বোনাস চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরুর পরে পাহাড়ের চা বাগানগুলিতে অচলাবস্থা শুরু হয়। মোট ৮৭টি চা বাগানের মধ্যে ১১টি চা বাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:২৭
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বুধবার দার্জিলিঙের সোম চা বাগানের পরে আজ, বৃহস্পতিবার, খুলছে ব্যানকবার্ন চা বাগান। এ দিন শিলিগুড়ির শ্রম দফতরের শ্রম ভবনে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক বাগানটি খোলার সিদ্ধান্ত হয়। দু’টি বাগানেই বোনাস চুক্তির পরে, শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামলে বাগানের কাজের ক্ষতি হয় বলে দাবি। তাতে কাজের পরিবেশ এবং বাগানের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে
বাগান বন্ধ করা হয়েছিল।

শ্রম দফতরের তরফে কলকাতার সচিব পর্যায়ের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দীপাবলির আগে পর পর পাহাড়ে বন্ধ বাগান খোলায় পরিস্থিতি কিছুটা আশাব্যঞ্জক৷ আরও বেশ কিছু বাগান বন্ধ রয়েছে। আগামীতে সেগুলিও খুলবে বলে আমরা আশাবাদী।’’

এ দিন ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বাগান খুললে শ্রমিকেরা আট ঘণ্টা করে কাজ করবেন৷ বাগানে কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে৷ এখনও একাধিক বাগান বন্ধ রয়েছে। ব্যানকবার্ন বাগানে শ্রমিকদের বকেয়া মালিক পক্ষ ৩০ অক্টোবর, দীপাবলির আগে মেটাবেল বলে ঠিক হয়েছে। পাহাড়ের শাসক দল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার চা শ্রমিক সংগঠন, ‘হিল তরাই ডুয়ার্স প্ল্যান্টেশন ওয়াকার্স ইউনিয়ন’-এর সভাপতি জেবি তামাং বলেন, ‘‘সুষ্ঠু পরিবেশে আলোচনার করে পর পর বাগানগুলি খোলা হচ্ছে। তবে বাকি বোনাসের দাবিতে সরকারের
সঙ্গে আলোচনা চলবে।’’

বোনাস চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরুর পরে পাহাড়ের চা বাগানগুলিতে অচলাবস্থা শুরু হয়। মোট ৮৭টি চা বাগানের মধ্যে ১১টি চা বাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দীপাবলির মুখে এ বারে বাগান ধরে ধরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি ওঠা শুরু হয়। চা বাগান শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চের তরফে শ্রম দফতরের অতিরিক্ত শ্রম কমিশনারকে চিঠি দিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চালুর দাবি জানানো হয়। মঞ্চের অন্যতম নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ সমন পাঠক বলেছেন, ‘‘পাহাড়ের আরও বাগানের অচলাবস্থা রয়েছে। সেগুলি খোলার দাবিও আমাদের রয়েছে।’’

চা শ্রমিক সংগঠনগুলির নেতারা জানাচ্ছেন, আপাতত বন্ধ চা বাগানে কম করে ১০-১৫ হাজার স্থায়ী চা শ্রমিক এবং কর্মী বিপাকে পড়েছেন। দশমীর পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে চিঠি দিয়েছেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্যের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চা পর্যদের মাধ্যমে বন্ধ বাগানগুলি অধিগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Siliguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy