টিএমসিপির অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দল থামাতে এ বার জলপাইগুড়িতে রীতিমত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় ও টিএমসিপি সভাপতি অভিজিৎ সিংহকে দিয়ে সই করিয়ে নিল তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব৷ কলেজ নির্বাচনে কে ক’টা আসনে লড়বেন সে ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত জানিয়েও ওই নেতাকে দিয়ে স্ট্যাম্প পেপারে এদিন সই করিয়ে নেওয়া হয়৷
শুভঙ্কর মিশ্র জখম কাণ্ডে এদিন আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে গত ৩ জানুয়ারি গভীর রাতে কদমতলা এলাকায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক জখম হন যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী শুভঙ্কর৷ যে ঘটনায় টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি অভিজিৎ সিংহ সহ চোদ্দো জনের বিরুদ্ধে থানায় সরাসরি অভিযোগ করেন শুভঙ্করের স্ত্রী৷ যার ভিত্তিতে আগেই গ্রেফতার করা হয় চারজনকে৷ এ দিন গ্রেফতার হলেন, পাপাই মাহাতো ওরফে বান্টা, সুখলাল দাস ওরফে লালু ও কৃষ্ণ দাস৷
টিএমসিপি-র অন্দরে সৈকত অনুগামীদের দাবি, পাপাই জলপাইগুড়ি কমার্স কলেজে টিএমসিপি-র পর্যবেক্ষক ছিল৷ আর লালু সংগঠনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের টিএমসিপি সভাপতি৷ যদিও টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি অভিজিতের দাবি, ‘‘এ দিন যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা কেউই সংগঠনের কেউ নন৷’’
টিএমসিপির অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দল বাড়তে থাকায় সৈকত ও অভিজিতের অনুগামীরা কে কটা আসনে লড়বেন তা নিয়ে দিন কয়েক আগেই সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব৷
এদিন সন্ধ্যার পর দলের সেই সিদ্ধান্ত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখে দুই নেতাকে দিয়ে সই-ও করিয়ে নেওয়া হয়৷ এদিন সন্ধ্যায় তৃণমূলের জলপাইগুড়ি টাউন ব্লক সভাপতি মোহন বসু বলেন, ‘‘নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেতে সমস্যা হওয়ায় এই কাজে একটু দেরি হল৷’’
সৈকতবাবু বলেন, ‘‘দলের সব নির্দেশের সঙ্গেই আমার সহমত রয়েছে৷ সে জন্য এই নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে সই করেছি৷’’ অভিজিৎ জানান, এদিন সন্ধ্যার পর তিনিও ওই পেপারে সই করেছেন৷