Advertisement
E-Paper

রেলের প্রেস বন্ধ, নাজেহাল যাত্রীরা

কোথাও হাতে লেখা, কোথাও বা সিলের ছাপ দিয়ে রিকিউজিশন ফর্ম দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের। যে ফর্মের অধিকাংশ অক্ষরই অস্পষ্ট। নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রীদের।

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৭ ০৩:৫৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পাহাড়ে টানা বন্‌ধে ‘রসদ’ ফুরোচ্ছে রেলেরও। শিলিগুড়িতে রেলের কম্পিউটারাইজড আসন সংরক্ষণকেন্দ্রগুলিতে মিলছে না ছাপানো রিকিউজিশন স্লিপ তথা সংরক্ষণের আবেদন পত্র।

কোথাও হাতে লেখা, কোথাও বা সিলের ছাপ দিয়ে রিকিউজিশন ফর্ম দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের। যে ফর্মের অধিকাংশ অক্ষরই অস্পষ্ট। নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রীদের। তাঁদেরই একাংশের অভিযোগ, এ বিষয়ে অভিযোগ জানালে টিকিট কাউন্টারের অন্যপ্রান্ত থেকে উত্তর মিলছে, ‘পাহাড়ে বন্‌ধ চলছে। আমাদের কিছু করার নেই।’ এমন উত্তরে বিস্মিত যাত্রীরা। অপাঠযোগ্য অস্পষ্ট ফর্মেই কোনওমতে নিজেদের তথ্য লিখতে বাধ্য হচ্ছেন।

পাহাড় বন্‌ধের সঙ্গে রেলের ফর্মের কী সম্পর্ক? উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার বিভাগের এক কর্তা জানালেন কম্পিউটারাইজড আসন সংরক্ষণের রিকিউজিশন ফর্ম ছাপানো হয় কার্শিয়াঙে রেলের নিজস্ব প্রেসে। বন্‌ধের জেরে সেই ছাপাখানাও বন্ধ। তার জেরেই আপাতত হাতে লেখা অথবা সিল লাগিয়ে ফর্ম দেওয়া চলছে। রেল সূত্রের খবর, টিকিট সহ অন্য প্রিন্টিং কাগজ কলকাতা থেকে সরবরাহ হয়। কিন্তু ফর্ম, খাতা এই সব সরঞ্জাম কার্শিয়াঙের প্রেসে।

ওই প্রেস থেকে নিউ জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি জংশন, সিটি বুকিং কেন্দ্র সহ পাহাড়ের বিভিন্ন স্টেশনে ফর্ম এবং বিভিন্ন রসিদ পাঠানো হয়। গত মাসের শেষ থেকে যারা ফর্ম সরবরাহ বন্ধ। শুধু ফর্ম নয়, সমস্যা হচ্ছে জরিমানার রসিদেও। চলন্ত ট্রেনে টিকিট বানিয়ে দেওয়ার যে রসিদ দেওয়া হয় এনজেপি বিভাগে তা-ও নেই। কম্পিউটার প্রিন্ট করে কাজ চালানো হচ্ছে। নিউ জলপাইগুড়ির স্টেশন ডাইরেক্টর পার্থসারথি শীল বলেন, ‘‘কলকাতার অন্য একটি সরকারি প্রেসে ফর্ম রসিদ ছাপতে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেগুলি স্টেশনে চলে আসবে।’’

নিউ জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি জংশন ছাড়াও শিলিগুড়ির হাসমিচকে সিটি বুকিং কেন্দ্রে ফর্ম ফুরোনোর পরে কয়েকদিন হাতে লেখা আবেদন দিয়েছিল সেখানে। সেক্ষেত্রে রেলের নিয়মে বারণ রয়েছে। তা ছাড়া, হাতে লিখে প্রতিদিন শ’য়ে শ’য়ে ফর্ম তৈরি করাও পরিশ্রম সাপেক্ষ। তাই ফর্মের আদলে একটি বড় সিল তৈরি করেছেন তারা। সাদা কাগজে সেই সিলের ছাপ দিয়েই তৈরি হয়েছে ‘নতুন’ ফর্ম। বড় আকারের সেই সিল বানাতে তৈরি হয়েছে শ’তিনেক টাকা।

Indian railway Darjeeling দার্জিসিং
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy