Advertisement
E-Paper

ব্যারিকেড ভাঙায় রণক্ষেত্র

আইন-অমান্য কর্মসূচির আগে সকালে পুরাতন মালদহের কোর্ট স্টেশন চত্বরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলকে একহাত নিয়েছেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, “এ বারের লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে দেখিয়ে দেব যে কত ধানে কত চাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৫৭
 হুলস্থুল: বিজেপির আইন-অমান্য কর্মসূচিতে ব্যারিকেড ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। ছবি: তথাগত সেনশর্মা

হুলস্থুল: বিজেপির আইন-অমান্য কর্মসূচিতে ব্যারিকেড ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। ছবি: তথাগত সেনশর্মা

বিজেপির আইন-অমান্য কর্মসূচিকে ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মালদহ জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বর। বুধবার বিকেলে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে একদল বিজেপি কর্মী জেলাশাসকের দফতরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, কর্মীদের একাংশ লোহার ব্যারিকেড টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সে সময় তাঁদের সঙ্গে পুলিশের রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। আরও অভিযোগ, ওই সময়ে আন্দোলনকারীদের দিক থেকে কয়েকটি ইট ও কাঠের টুকরোও পুলিশের দিকে ধেয়ে আসে। পুলিশ ও বিজেপির নেতারাই তখন পুরো পরিস্থিতি সামাল দেয়। আইন-অমান্য কর্মসূচিতে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।

আইন-অমান্য কর্মসূচির আগে সকালে পুরাতন মালদহের কোর্ট স্টেশন চত্বরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলকে একহাত নিয়েছেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, “এ বারের লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে দেখিয়ে দেব যে কত ধানে কত চাল। দাদাগিরি, গুন্ডাগিরি করে ভোট করতে এলে তার শোধবোধ তুলে নেব আমরা।” তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে রাজ্য পুলিশ বুথের কাছাকাছিও থাকবে না। দিল্লির আধা সামরিক বাহিনী বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে লাঠি থাকবে আবার বন্দুকও থাকবে। যেটা যখন দরকার সেটা তখন তারা ব্যবহার করবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমরা এই রাজ্যে এ বার ত্রিপুরা স্টাইলে ভোট করব। ত্রিপুরায় গত পাঁচ বছর আগে সিপিএমের অত্যাচারে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হত না। বিজেপির ভোট ছিল মাত্র দেড় শতাংশ। এবারে বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করায় ৬০ টি আসনের মধ্যে ৪৫টি আসন পেয়ে বিজেপি সরকার গড়েছে। দলের ভোট হয়েছে ৫০ শতাংশ।’’

তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছে, দিলীপবাবুর বক্তব্যে সারবত্তা নেই। তাঁরা জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।

বিজেপির সভায় পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলার অতুল সরকার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দিলীপবাবুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন।

সভা শেষে জেলা প্রশাসনিক ভবনে আইন-অমান্য কর্মসূচির জন্য বেলা একটায় ইংরেজবাজার শহরের রামকৃষ্ণপল্লি মাঠ থেকে মিছিল বের হয় বিজেপির। সেখানে দিলীপবাবু সহ দলের নেতা সায়ন্তন বসু, রথীন্দ্রনাথ বসু, মাফুজা খাতুন সহ অন্য নেতানেত্রীরা ছিলেন। পরে সেই মিছিল এসে জড়ো হয় প্রশাসনিক ভবন চত্বরে। সেখানেও সভামঞ্চ থেকে নেতৃত্ব বক্তব্য রাখেন। তিনটে নাগাদ আইন-অমান্য শুরু হয় এবং সেসময় পুলিশের সঙ্গে কর্মীদের ধস্তাধস্তি বাধে।

BJP Unrest Violetion of Law Malda
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy