Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

চিতাবাঘের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ‘মতানৈক্য’ দুই মন্ত্রীর

চিতাবাঘের মৃত্যুর কারণ নিয়ে এ বার মতানৈক্য রাজ্যের দুই মন্ত্রীর মধ্যে৷ রবিবার আলিপুরদুয়ারের দমনপুরে বন্যপ্রাণ দিবসের অনুষ্ঠানে বন্যপ্রাণ বা চিতাবাঘের রক্ষায় কিছুটা হলেও যে খামতি হচ্ছে তা কার্যত বুঝিয়ে দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ যদিও তা মানতে নারাজ বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ৷

চিতাবাঘের রক্ষায় কিছুটা হলেও যে খামতি হচ্ছে তা কার্যত বুঝিয়ে দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ যদিও তা মানতে নারাজ বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ৷

চিতাবাঘের রক্ষায় কিছুটা হলেও যে খামতি হচ্ছে তা কার্যত বুঝিয়ে দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ যদিও তা মানতে নারাজ বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:২৫
Share: Save:

চিতাবাঘের মৃত্যুর কারণ নিয়ে এ বার মতানৈক্য রাজ্যের দুই মন্ত্রীর মধ্যে৷ রবিবার আলিপুরদুয়ারের দমনপুরে বন্যপ্রাণ দিবসের অনুষ্ঠানে বন্যপ্রাণ বা চিতাবাঘের রক্ষায় কিছুটা হলেও যে খামতি হচ্ছে তা কার্যত বুঝিয়ে দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ যদিও তা মানতে নারাজ বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ৷

চলতি মাসে মাদারিহাটের ধুমচিপাড়া ও রামঝোরা চা বাগানে চিতাবাঘের হামলায় এক শিশু ও এক কিশোরের মৃত্যু হয়৷ জখম হন এক বৃদ্ধ৷ বুধ ও বৃহস্পতিবার ধুমচিপাড়া ও রামঝোরা চা বাগানের কাছে গ্যারগেন্দা চা বাগানে বিষ মেশানো মাংস খাইয়ে একটি মহিলা ও একটি পুরুষ চিতাবাঘকে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে৷ ওই ঘটনায় বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, বন্যপ্রাণীর রক্ষায় যেখানে এত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেখানে এই ঘটনা ঘটল কী করে৷ এমনকী ঘটনার পর কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনও চিতা বাঘের খুনিরা ধরা না পড়াতেও বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷

রবিবার রাজ্যস্তরের বন্যপ্রাণ দিবসের অনুষ্ঠানেও বিষয়টি ওঠে৷ এ দিন ওই প্রসঙ্গ তুলে দুটি চিতাবাঘকে মেরে ফেলার ঘটনায় রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, ‘‘জঙ্গলে তো আছেই হাতেগোনা কিছু বাঘ৷ তারপরও যদি এভাবে একটা-দুটো বাঘকে মেরে ফেলা হয় তবে তো একদিন জঙ্গল বাঘশূন্য হয়ে পড়বে৷ এ ধরনের ঘটনা রুখতে আরও বেশি করে সচেষ্ট হতে হবে৷” বন্যপ্রাণীদের বারবার করে লোকালয়ে বেরিয়ে আসার কারণ হিসেবে জঙ্গলের ভিতরে তাদের জন্য খাবারের পরিমাণ কমে যাওয়াকেও দায়ী করেন তিনি৷ রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “সঠিক পরিমাণ খাবার পেলে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে বেরিয়ে আসবে না৷ এ জন্য বনের ভিতরে বন্যপ্রাণীদের খাবার পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন৷ দরকারে বাইরে থেকে বনের জঙ্গলের ভিতরে খাবারও দিতে হবে৷ জলাশয় সংস্কার করতে হবে৷ বরাদ্দ অনুযায়ী সঠিক পরিমাণ নুন দিতে হবে৷” সুযোগ পেলে মাদারিহাটের মত ঘটনা রোখার উপায় তিনি বন দফতরের আধিকারিকদের বাতলে দেবেন বলেও এ দিন জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী৷

যদিও মাদারিহাটে চিতাবাঘের মৃত্যু নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর মন্তব্য মানতে চাননি রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ৷ তিনি বলেন, “উনি কী উদ্দেশ্যে কী বলেছেন জানি না৷ তবে এটুকু বলতে পারি, বনকর্মীরা নিজেদের জীবন বিপণ্ণ করে জঙ্গল, বন্যপ্রাণ ও বনাঞ্চল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের জীবন রক্ষা করে চলেছেন৷ আমি চাই না বনকর্মীদের নিরুৎসাহ করতে৷”

একই সঙ্গে বনের ভিতরে বন্যপ্রাণীদের খাবারের সংস্থান নিয়েও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর মন্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন বনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এ রাজ্যে কোথাও বনের ভিতরে বন্যপ্রাণীদের খাবারের অভাব নেই৷ কিন্তু মাদারিহাট এলাকায় কিছু চা বাগান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ও সংস্কার না হওয়ার ফলে সেখানে তৈরি হওয়া ঝোপঝাড়ে চিতাবাঘ আশ্রয় নেয়৷” বনমন্ত্রী জানিয়ে দেন, মাদারিহাটে যারা নির্বিচারে বন্যপ্রাণীদের হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

বন্যপ্রাণ দিবসে রাজ্যস্তরের এ দিনের ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যের শীর্ষ বনকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন৷ এ দিনের অনুষ্ঠান থেকে বনবস্তিবাসীদের বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা ও বনাঞ্চল লাগোয়া স্কুলে কম্পিউটার প্রদান করা হয়৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE