ভোগান্তি: এখনও জল নামেনি শিলিগুড়ির জ্যোতির্ময় কলোনিতে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
কয়েক পশলা বৃষ্টিতেই জলজমে থাকছে শিলিগুড়ি শহরের বেশকিছু এলাকায়। কোথাও নর্দমা সাফাই করা হচ্ছে না, কোথাও কালভার্ট ভাঙা। অল্প বৃষ্টিতে জল জমায় সমস্যায় পড়ছেন বাসিন্দারা।
শহরে নিকাশি নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজাও। শিলিগুড়ি শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হাসপাতাল মোড় এলাকায় ভাঙা কালভার্ট সংস্কার না করায় অল্পবৃষ্টি হলেই জল জমে যানযট হচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় ব্যবসায়ী অলোক গোস্বামী জানান, হাসপাতাল মোড় এলাকায় ৫০ বছরের পুরনো কালভার্ট সংস্কার না করায় আবর্জনায় ভরে গিয়েছে।
তৃণমূল কাউন্সিলর নান্টু পালের দাবি, পুর বোর্ডের সভায় অনেকবার ওই এলাকার কালভার্ট সংস্কারের কথা জানান হলেও পুর কর্তৃপক্ষ তা করেনি। মেয়রের পাল্টা দাবি, হাসপাতাল মোড়ের ওই কালভার্ট পূর্ত দফতরের। অনেক বার সংস্কারের দাবি জানালেও কাজ হয়নি। হাসপাতাল মোড়ের ওই এলাকায় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল, কয়েকটি সরকারি বাংলো রয়েছে। বৃষ্টি হলেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের।
শহরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অশোকনগর এলাকার প্রধান সমস্যা বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা। প্রত্যেক বর্ষায় জলজমে বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সব সময়েই পুর ভোটের আগে নানা দলের তরফে ওই এলাকার নর্দমা সংস্কারের আশ্বাস দিলেও পরে আর কোনও কাজ করেনি রাজনৈতিক দলগুলি। যার ফলে প্রত্যেক বর্ষায় সমস্যায় পড়তে হয় অশোকনগরের বাসিন্দাদের। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বেহাল নিকাশির সমস্যা সমাধানে কাউন্সিলরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, নিকাশি সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ পুর কর্তৃপক্ষ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর দীপা বিশ্বাস। তিনি জানান, অশোকনগর নীচু এলাকা হওয়ায় অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। নর্দমা সাফাই হওয়াতেই বৃষ্টি কমায় দ্রুত জল নেমে গিয়েছে বলে তাঁর দাবি। বড় নর্দমার প্রয়োজন থাকলেও আর্থিক সঙ্কটে নির্মাণ করা যায়নি বলেই তিনি জানান। প্রয়োজনে মন্ত্রী গৌতম দেবের দারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
৪০ নম্বর ওয়ার্ডের আশ্রফনগর, জ্যোতিনগর এলাকার তপন বিশ্বাস জানান, বৃষ্টিতে জল ঢুকে যায় তাঁর এলাকাতেও। আগেও পুর কর্তৃপক্ষকে জানান হলেও কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে তাঁর দাবি। তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যজিৎ অধিকারী জানান, সাফাই কর্মী কম থাকায় নর্দমাগুলি নিয়মিত সাফাই করা হয় না। তার ফলেই বাড়ছে সমস্যা।
এছাড়া ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দার পাড়া ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আশ্রম পাড়া, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘনাথ সরণি, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকা, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতির্ময় কলোনি, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের আশ্রফ নগর, জ্যোতিনগর এলাকায় অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েন। বারবার এই ঘটনায় খারাপ হয়ে যায়। এলাকার রাস্তাঘাটও। ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান নর্দমাগুলি সংকীর্ণ থাকায় বৃষ্টি বাড়লে বেশি জল বেরতে পারে না। ফলে নর্দমা উপচে রাস্তায় জল উঠে আসে। পুর এলাকার মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলিও জঞ্জাল সমস্যায় জল বহনে অক্ষম হয়ে পড়েছে। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য জানান, অন্যবারের তুলনায় এ বার বৃষ্টির পরিমাণ অনেক বেশি। তবুও সেই তুলনায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে বলে তাঁর দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy