Advertisement
E-Paper

কেন বারবার অশান্তি লক্ষ্মীপুরেই, প্রশ্ন

গত পঞ্চায়েত থেকে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক সংঘর্ষ। মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও লোকসভা ভোটের মুখে ফের অশান্তি চোপড়ার লক্ষ্মীপুরে। 

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৯ ০৫:৩৪
জখম মাসুদ আলম। নিজস্ব চিত্র

জখম মাসুদ আলম। নিজস্ব চিত্র

গত পঞ্চায়েত থেকে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক সংঘর্ষ। মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও লোকসভা ভোটের মুখে ফের অশান্তি চোপড়ার লক্ষ্মীপুরে।

প্রশ্ন উঠেছে, বারবার কেন বারবার সংঘর্ষে জড়াচ্ছে এই এলাকা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরে শুরু হয়েছিল সংঘর্ষ। এর আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল পাশের দাসপাড়া এবং ঘিরনীগাঁও এলাকায়। পুলিশ এবং স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত পর্ব থেকে শুধু লক্ষ্মীপুরেই ১৫টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গুলিতে নিহত হয়েছেন একজন। জখম হয়েছেন একশোর কাছাকাছি। দাসপাড়া এবং ঘিরনীগাঁও এলাকায় নিহত হয়েছেন চারজন। এই তিন গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড তৃণমূল দখল করলেও এখনও এই তিন পঞ্চায়েত অফিসে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যেরা অফিস যেতে পারছেন না। বারবার বিরোধীদের প্রতিরোধে মুখে পড়ছেন। ফলে এই তিন পঞ্চায়েতের উন্নয়ন-কাজও থমকে। যদিও বিরোধী দলগুলির দাবি, সাধারণ মানুষই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। অভিযোগ, এই তিন গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটের গণনা কেন্দ্র লুঠ করেছিল শাসক দল। সেটা স্থানীয়রা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। তাই এই প্রতিরোধ। যদিও শাসক দলের নেতাদের দাবি, কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি মিলে জোট করে এলাকায় অশান্তি করে এলাকার উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিয়েছে।

কিন্ত সমাধান কোথায়? কী করে থামবে এই অশান্তি? কী ভাবছেন পুলিশকর্তারা? জেলার পুলিশ আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, এই এলাকায় মাঝেমধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশকর্মীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে স্থানীয় নেতাদের নিয়ে একাধিকবার শান্তি বৈঠক করা হয়েছিল। কিন্ত কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর ফের শুরু হয়ে যাচ্ছে অশান্তি। পুলিশের কর্তাদের বক্তব্য, স্থানীয় নেতাদের সদিচ্ছার অভাবেই শান্তি ফিরছে না। তাঁরা উদ্যোগী হলে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

পুলিশ কর্তাদের এই বক্তব্য গিলতে পারছেন না রাজনৈতিক দলের নেতারা। চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, ‘‘আমরা পুলিশকে দুষ্কৃতীদের তালিকা তুলে দিয়েছি। তা সত্ত্বেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। অস্ত্র উদ্ধারের দাবিও জানিয়েছি। কিন্ত পুলিশ নির্বিকার।’’ অন্যদিকে, কংগ্রেস ব্লক সভাপতি অশোক রায় বলেন, ‘‘প্রকাশ্য দুষ্কৃতীরা বেআইনি অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। অথচ পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশ এবং শাসক দলের মদতে দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত। কেন পুলিশ অস্ত্র উদ্বার করতে পারছে না? পুলিশি ব্যর্থতার জেরে অশান্তি বাড়ছে।’’

সিপিএম চোপড়া জোনাল সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘‘পুলিশের দায়িত্ব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা। পুলিশ অন্যের দোষ চাপিয়ে দিলে কি করে শান্তি ফিরবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।’’

Violence Political Clash Lok Sabha Election 2019
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy