Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Agitation Near Anganwadi Center

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার না পেয়ে বিক্ষোভ মহিলাদের

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রসূতি ও শিশুদের খাবার দেওয়া হয়। কিন্তু বাগমারা পশ্চিমপাড়া কেন্দ্রে বেশ কিছু দিন ধরে আসছেন না কেন্দ্রের কর্মী নাসরিন খাতুন।

হরিশ্চন্দ্রপুরের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ। বুধবার।

হরিশ্চন্দ্রপুরের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:১০
Share: Save:

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার না পেয়ে থালা, বাটি হাতে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলা ও শিশুরা। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কেন্দ্রে খাবার বিলি বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাগমারা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘটনা। বুধবারও খাবার না মেলায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বেশ কয়েকদিন ধরে ওই কেন্দ্রের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী আসছেন না বলে অভিযোগ। সহায়িকা তথা রাঁধুনি আসলেও রান্না হচ্ছে না। ওই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক বার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যদিও টানা খাবার না-দেওয়ার কথা মানতে চাননি কেন্দ্রের কর্মী।

হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের শিশু কল্যাণ প্রকল্প আধিকারিক (সিডিপিও) আব্দুল সাত্তার বলেন, ‘‘ওই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে। তিন বার কেন্দ্রের কর্মীকে শো-কজ় করা হয়েছে। এ বার সব খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রসূতি ও শিশুদের খাবার দেওয়া হয়। কিন্তু বাগমারা পশ্চিমপাড়া কেন্দ্রে বেশ কিছু দিন ধরে আসছেন না কেন্দ্রের কর্মী নাসরিন খাতুন। সহায়িকা সাহেরা খাতুন এলেও খাবার মিলছে না বলে অভিযোগ। যে দিন খাবার দেওয়া হয়, তার মানও খারাপ বলে অভিযোগ। এ দিন কেন্দ্রে গিয়ে খাবার না পেয়ে ক্ষুব্ধ মহিলা ও শিশুরা থালা হাতে কেন্দ্রের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

স্থানীয় সাহানাজ বিবি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের কর্মীরা মর্জি মতো কেন্দ্র চালান। শিশুরা গিয়েও খাবার না পেয়ে ফিরে আসে।’’ কেন্দ্রের কর্মী নাসরিনের দাবি, ‘‘খুব অসুস্থ থাকায় কেন্দ্রে যেতে পারিনি। এ ছাড়া, আনাজের বিল আটকে থাকায় সমস্যা হয়েছিল। তবে কেন্দ্রে না গেলেও সব পৌঁছে দিতাম। কয়েক দিন ডিম দেওয়া হয়নি। বলেছিলাম, পরে তা দিয়ে দেব। কিন্তু আজই তা চেয়ে সবাই বিক্ষোভ শুরু করেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Harishchanrdapur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE