Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ময়নাগুড়ির দিকে নজর রায়গঞ্জের

দল এবং কর্মীরাই ভাগ করে নিচ্ছেন খরচ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:১১
Share: Save:

দল এবং কর্মীরাই ভাগ করে নিচ্ছেন খরচ।

উত্তর দিনাজপুর থেকে অন্তত হাজার খানেক কর্মী ময়নাগুড়িতে মোদীর সভায় যেতে পারেন। অনেকেই যাবেন ছোট গাড়িতে। রায়গঞ্জ থেকে দু’শো কিলোমিটারের মতো রাস্তা। আজ, বৃহস্পতিবার রাতের দিকে রওনা দেবেন তাঁরা। শুক্রবার সভা শেষ হওয়ার পরে সেই গাড়িতেই ফিরবেন। এক একটি ছোট গাড়িতে খরচ পড়তে পারে মোটামুটি সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে। এর সঙ্গে রয়েছে খাওয়াদাওয়ার খরচও। উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী জানান, মোদীর সভার দিন জেলা থেকে যে কর্মীরা যাবেন, তাঁদের টিফিন দেওয়ার বন্দোবস্ত করার কথা ভাবছেন। পথে বিভিন্ন হোটেলে কর্মীদের একবেলার খাবারের ব্যবস্থা করার কথাও ভাবা হয়েছে। যেখানে তাঁদের দলের প্রভাব রয়েছে, সেই সব জায়গার হোটেলগুলোতে সেই ব্যবস্থা করতে স্থানীয় নেতাদের বলা হয়েছে। আর গাড়ির খরচের কিছুটা দল বহন করতে পারে বলেও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।

এই জেলায় বিজেপির কোনও বড় নেতার সভা করানোর জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছিলেন নেতারা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা করা যায়নি। তাই কাছাকাছির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সভা হচ্ছে যখন, সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চান জেলা নেতারা। জেলার পদাধিকারী ও নয়টি ব্লকের মণ্ডল কমিটির নেতারা নিজেদের এলাকার লোকদের নিয়ে যেতে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। বিজেপির অনেক কর্মী ট্রেনে, বাসেও ময়নাগুড়িতে যেতে পারেন। রাতে চেনা পরিচিতদের বাড়িতে থাকবেন। তাতে কয়েক হাজারেরও বেশি কর্মী-সমর্থক এই জেলা থেকে ওই সভায় সামিল হবেন বলে দলীয় নেতৃত্ব দাবি করেছেন।

মনে করা হচ্ছে, রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার, করণদিঘি, ইসলামপুর, চোপড়া, গোয়ালপোখর ১ ও ২ ব্লকের কর্মী সমর্থকেরাই বেশি উৎসাহী।

বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ লাহিড়ির অভিযোগ, ‘‘রায়গঞ্জে যোগীর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার জন্য তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের চাপে পরিবহণ মালিকরা বিজেপির নেতা ও কর্মীদের বাস ও ট্রেকার ভাড়া দিতে চাননি। তাই বিজেপির কর্মীরা মোদীর সভায় যাওয়ার জন্য বাসভাড়া চাইতে গেলে শাসকদলের চাপে ফের সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।’’

জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য ও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অরিন্দম সরকারের দাবি, ‘‘বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। পরিবহণ মালিকরাই বিজেপিকে বাস ও ট্রেকার ভাড়া দিতে অস্বীকার করেছেন।’’ তাঁর কথায়, মোদীর জনসভায় যাওয়ার জন্য জেলার শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন বাসিন্দারা উৎসাহী নন।

জেলা বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিকের দাবি, বিজেপির নেতা ও কর্মীরা সঠিক ভাড়া দিলে তাদের বাস ও ট্রেকার নিশ্চয়ই ভাড়া দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE