ভরদুপুরে দোকানে ঢুকে দোকানদারকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক যুব তৃণমূল নেতা এবং তাঁর সঙ্গীর বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর শহরে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুরে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর দোকানে ঢোকেন দুই অচেনা যুবক। একজন কোমরে গুঁজে রাখা বন্দুক বার করেন। অভিযোগ, বন্দুক উঁচিয়ে তিনি খুনের হুমকি দেন। তবে দোকানমালিক না থাকায় বেরিয়েও যান ওই দু’জন। দোকানমালিকের পুত্র ঘটনার কথা পুলিশকে জানান। ঘটনাক্রমে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দু’টি তাজা গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। দোকানমালিকের পুত্র অভিজিৎ দাসের কথায়, ‘‘আমি তখন দোকানে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দু’জন স্থানীয় লোক আসে। তাদের নাম জানি না। তবে মুখ চিনি। তারা এসে বলে, ‘তোর মালিককে ডাক। তুই তো ম্যানেজার। তোর সঙ্গে কথা নেই।’ কোমরে বন্দুক গুঁজে রেখেছিল এক জন। সেটা দেখিয়ে আমাকে হুমকি দেয়। বলে, ‘কার অনুমতি নিয়ে দোকানের সামনে কাজ হচ্ছে?’ তার পর ওরা পরের দিন আসবে বলে বেরিয়ে যায়।’’ অভিজিৎ জানান, বাবা এবং তাঁর নামে এই দোকান। কিন্তু বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়ায় তিনি পরিচয় গোপন করে জানান যে তিনি ম্যানেজার। দোকানের মালিক এখন নেই।
গঙ্গারামপুরে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ওই দোকানটির মালিক অভিজিৎ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘‘এলাকায় আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। এ ব্যর্থতা সরকারের। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’’ পাল্টা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শঙ্কর সরকারের সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, ‘‘ঘটনাটি দুঃখজনক। তবে পুলিশ তাদের কাজ করছে। শীঘ্রই দোষীরা ধরা পড়বে।’’
আরও পড়ুন:
মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করছে পুলিশ। তিনি বলেন, ‘‘একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। দুটো তাজা গুলি উদ্ধার হয়েছে। আমরা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করব।’’ অন্য দিকে, এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।