Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

অধ্যক্ষকে অনুরোধ উপাচার্যের

ভর্তির প্রক্রিয়া চলতে থাকায় রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তম রায়কেই আপাতত কাজ চালানোর জন্য অনুরোধ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমনাথ ঘোষ তাঁকে ফোনে অনুরোধ করেন, প্রয়োজনে বাড়িতে বসেই কলেজের কাজ পরিচালনা করার জন্য। যদিও উত্তমবাবু ফের দাবি করেছেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলাতে পারবেন না তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩৯
Share: Save:

ভর্তির প্রক্রিয়া চলতে থাকায় রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তম রায়কেই আপাতত কাজ চালানোর জন্য অনুরোধ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমনাথ ঘোষ তাঁকে ফোনে অনুরোধ করেন, প্রয়োজনে বাড়িতে বসেই কলেজের কাজ পরিচালনা করার জন্য। যদিও উত্তমবাবু ফের দাবি করেছেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলাতে পারবেন না তিনি।

গত ৫ সেপ্টেম্বর কলেজে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন টিএমসিপির এক ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে ছাত্র পরিষদের তিন নেতার বিরুদ্ধে। টিএমসিপির অভিযোগ, ঘটনার পর উত্তমবাবু তদন্ত না করে ওইদিন কলেজে কিছু হয়নি বলে মন্তব্য করেন। এরপরে উত্তমবাবুর বিরুদ্ধে পক্ষপাত ও রাজনীতি করার অভিযোগে শহরে ধিক্কার মিছিল করে টিএমসিপি। কলেজের সামনে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভও চলে। ওই ঘটনার পর টিএমসিপির হামলার মুখে পড়ার আশঙ্কার কথা দাবি করে গত শুক্রবার থেকে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন উত্তমবাবু। দু’মাস আগেই নানা বিষয়ে চাপে পড়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরে যেতে তিনি ইস্তফা দিতে চেয়ে উপাচার্যের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেন উত্তমবাবু। ইতিমধ্যে, শনিবার তিনি অভিযোগ করেন, অন্য কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে তাঁকেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলাতে বাধ্য করা হচ্ছে। নিরাপত্তার খোঁজে রায়গঞ্জ ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার কথাও এ দিন বলেছিলেন তিনি।

অন্য দিকে, উপাচার্য জানান, কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। তা ছাড়া ব্যাঙ্কে সই করা সহ নানা প্রশাসনিক কাজও রয়েছে। রাজ্যের শিক্ষা দফতর থেকে যতদিন পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপের নির্দেশ না আসে, ততদিন কলেজের স্বার্থেই দায়িত্ব পালনের জন্য উত্তমবাবুকে অনুরোধ করা হয়। তাঁর অনুপস্থিতিতে কলেজে অচলাবস্থা তৈরি হলে আইনি পদক্ষেপ করার কথাও ভেবে দেখা হবে বলে দাবি করেছেন উপাচার্যর্। সোমনাথবাবু বলেন, “কলেজের স্নাতক স্তরের পাশকোর্সে ২০৪টি আসন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদনকারী পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে হবে। ভর্তির ফর্মে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তমবাবুর সই না করলে পড়ুয়ারা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন না। তাঁর সই ছাড়া কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন ও পুজোর আর্থিক পাওনা আটকে যাবে।” তিনি আরও জানান, শিক্ষা দফতরকে সব বিষয় জানানো হয়েছে।

তবে উত্তমবাবুর বক্তব্য, “ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিলে আমাকে টিএমসিপির হামলার মুখে পড়ার কথা বহুবার জানিয়েছি। কলেজে ৪৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কাউকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া যেতেই পারে। সে সব উপাচার্যকে ফোনে জানিয়েছি।” উত্তমবাবুর দাবি, তাঁর ছ’মাসের অসুস্থতাজনিত ছুটি বাকি থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর ছুটির আবেদনও মঞ্জুর করছেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

principal vice chancellor raiganj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE