Advertisement
E-Paper

অন্তঃসত্ত্বাকে হাজতে ভরার হুমকিতে অভিযুক্ত পুলিশই

শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে হামলা ও মারধরের মামলায় অভিযুক্তদের কেন পুলিশ ধরছে না তা জানতে থানায় যাতায়াত করছিলেন এক অন্তঃসত্ত্বা বধূ। বারবার থানায় এলে উল্টে ওই মহিলাকে হাজতে ঢুকিয়ে দেওয়ায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল থানার আইসি-র বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৪ ০২:৫০

শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে হামলা ও মারধরের মামলায় অভিযুক্তদের কেন পুলিশ ধরছে না তা জানতে থানায় যাতায়াত করছিলেন এক অন্তঃসত্ত্বা বধূ। বারবার থানায় এলে উল্টে ওই মহিলাকে হাজতে ঢুকিয়ে দেওয়ায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল থানার আইসি-র বিরুদ্ধে। আঞ্জুয়ারা বিবি নামের ওই মহিলা গঙ্গারামপুর থানার আইসি এবং তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন। ৮ জুন তিনি পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।

মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শীসরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “বধূর অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করতে নির্দেশ দিয়েছি। থানার ভূমিকা খতিয়ে দেখতে এসডিপিওকে বলা হয়েছে।” এদিন গঙ্গারামপুর থানার আইসি অসীম গোপের মোবাইলে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে গঙ্গারামপুরের এসডিপিও স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আইসি এমন কথা বলতে পারেন না। কী হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের অবশ্যই ধরা হবে।”

পুলিশ সূত্রের খবর, বধূ নির্যাতনের মামলাটি হয় গত ২৩ মার্চ। গঙ্গারামপুর থানার পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা, পেশায় চাষি আবদুল মিঁয়ার সঙ্গে দুইবছর আগে তপন থানার হজরৎপুর এলাকার বাসিন্দা আঞ্জুয়ারার সঙ্গে বিয়ে হয়। পণের দাবিতে অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। আঞ্জুয়ারা বলেন, “গত ১৮ মার্চ শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে বাবা ও মাকে ডেকে পাঠিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। বাবা ও মা আপত্তি জানালে অভিযুক্তরা চড়াও হয়। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোক বাব-মার সামনে মারধর করেন। পেটে লাথি মারা হয়।”

জখম অবস্থায় বধূ এবং তার মাকে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে ২৩ মার্চ ওই বধূ গঙ্গারামপুর থানায় গিয়ে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে আমাকে ও গর্ভস্থ সন্তানকে মেরে ফেলার চেষ্টার মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, “পুলিশ বধূ নির্যাতন এবং মারধরের মামলা করে। আর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টে শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।” ওই বধূর আরও দাবি, “৬ জুন গঙ্গারামপুর থানায় গিয়ে তদন্তকারী অফিসার কিরণ সিংহের সঙ্গে দেখা করি। অভিযুক্তদের কেন ধরা হচ্ছে না তা জানতে চাইলে তিনি থানার আইসি’কে দেখিয়ে দেন।”

anjuara bibi balurghat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy