বাড়ি থেকে ফিরে কাজে যোগ দেওয়ার দু’দিনের মাথায় নিজের সার্ভিস রাইফেলের গুলিতে মৃত্যু হল এক বিএসএফ জওয়ানের। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে কোচবিহারের সিতাই থানার বাংলাদেশ সীমান্তে কায়েতের বাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জওয়ানের নাম জ্ঞানারাম (৪০)। তাঁর বাড়ি রাজস্থানের বারমের এলাকায়। তাঁর মাথায় পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সন্দেহ করছে, ওই জওয়ান আত্মহত্যা করেছে। তবে তার কারণ নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। বিএসএফ কর্তৃপক্ষের কাছেও মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বাড়িতেও খবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।”
বিএসএফ সূত্রের খবর, বহু বছর ধরে বিএসএফ জওয়ান হিসেবে সীমান্তে কাজ করছিলেন ওই জওয়ান। তিনি বিএসএফের ২১ নম্বর ব্যাটেলিয়নে রয়েছেন। সম্প্রতি ওই কোচবিহারে আসে ওই ব্যাটেলিয়ন। দিন দুয়েক আগে ওই জওয়ানকে সিতাই সীমান্তে পাহারার দায়িত্ব দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, এ দিন রাতে ওই সীমান্তে বেশ কয়েকজন জওয়ানের দায়িত্ব পড়েছিল। তাঁরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাহারা দিচ্ছিল। রাত সাড়ে ৩ টে নাগাদ গুলির আওয়াজ শুনে অন্য জওয়ানরা ছুটে যান। জ্ঞানরামের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই জওয়ানদের একজন পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দশ মিনিট আগেও তিনি জ্ঞনারামের সঙ্গে কথা বলেছেন। তখনও বুঝতে পারেননি এমন কোনও ঘটনা ঘটতে পারে। কোনও অস্বাভাবিকতাও ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিল জ্ঞানারাম। সাধারণত বিএসএফ জওয়ানরা বছরে আড়াই মাস ছুটি পায়। পুলিশ জানতে পেরেছে বছরের দশ মাসের মধ্যেই সেই ছুটি তিনি কাটিয়ে ফেলেছিলেন। মাঝেমধ্যেই ছুটির জন্য বিএসএফ কর্তাদের কাছে দরবার করতেন তিনি। সেক্ষেত্রে তাঁর কোনও পারিবারিক সমস্যা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জওয়ানের কাছ থেকে পুলিশ একটি টর্চলাইট, দেশলাই উদ্ধার করেছে। সীমান্তে পাহারার সময় বিএসএফ জওয়ানদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি নেই। ওই জওয়ানের মোবাইল তাই ক্যাম্পেই ছিল। তাঁর মোবাইলও ঘেঁটে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy