Advertisement
E-Paper

উত্তরের কড়চা

বিকল্প আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে ফুলঝাড়ু। কালিম্পং মহকুমার পাহাড়, জঙ্গল, চা-বাগান ঘেরা নিমবস্তি, সুনতালে, ঝান্ডি, লুংসেন, মাংজিংয়ে প্রায় প্রতিটি বাড়ির বাসিন্দারা এখন ব্যস্ত হয়ে আছেন ফুলঝাড়ু সংগ্রহ ও শুকিয়ে নেবার কাজে। স্থানীয় ভাষায় এর নাম অমলিস। মে-জুন মাস নাগাদ পাহাড়ের গায়ে গায়ে চলে রোপণের কাজ। সংগ্রহের কাজ চলে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত।

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৪ ০১:২৯

বিকল্প আয়ের উৎস ফুলঝাড়ু

বিকল্প আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে ফুলঝাড়ু। কালিম্পং মহকুমার পাহাড়, জঙ্গল, চা-বাগান ঘেরা নিমবস্তি, সুনতালে, ঝান্ডি, লুংসেন, মাংজিংয়ে প্রায় প্রতিটি বাড়ির বাসিন্দারা এখন ব্যস্ত হয়ে আছেন ফুলঝাড়ু সংগ্রহ ও শুকিয়ে নেবার কাজে। স্থানীয় ভাষায় এর নাম অমলিস। মে-জুন মাস নাগাদ পাহাড়ের গায়ে গায়ে চলে রোপণের কাজ। সংগ্রহের কাজ চলে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েন ইন্দ্রমায়া, পদম,রিনা, সুশীলারা। দিনভর পাহাড়ে ঘুরে তুলে আনেন গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলঝাড়ু। ঝাড়াই এ বার বাছাই করে নিয়ে রোদে শুকিয়ে নেওয়ার পালা। পরিবার পিছু সংগ্রহের পরিমাণ আড়াই থেকে তিন কুইন্টাল। পাইকাররা এসে প্রতিটি বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান। ছোট ও বড় আকারের ফুলঝাড়ুগুলি বিক্রি হয় যথাক্রমে ৩৫ ও ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকা কেজি। ফি সোমবার গাড়ি বোঝাই হয়ে তা চলে যায় স্থানীয় গরুবাথান হাটে। সেখান থেকে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি হয়ে মালবাজার। এ ভাবে প্রয়োজনীয় এই জিনিসটির জোগান দিয়ে চলেছে এই মানুষেরা।

প্যারীমোহন

“প্যারীমোহন দাস এমন একজন প্রতিভাধর ব্যক্তি যে তাঁকে কোনও প্রথাগত বাঁধুনীতে আবদ্ধ রাখা যায় না। অর্থাভাবে তিনি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেননি, তখনকার দিনে ছাত্রবৃত্তি পাশ ছিলেন। কবিতা, গান, যাত্রা ও নাটকের পালা লেখা ও তাতে অভিনয় করা ছিল তাঁর স্বভাবজাত। সেই সব কবিতা, গান, পালা ও নাটকের শব্দচয়ন ও ব্যঞ্জন ছিল খুবই উচ্চমানের। প্রকাশভঙ্গি ছিল হৃদয়স্পর্শী, যা মানুষকে সহজে উন্নত ও সমৃদ্ধ করার কাজে উদ্বুদ্ধ করে তোলে। গানের মধ্যে সহজ-সরল কথায় সমস্যার কথা, দারিদ্র, অজ্ঞতা, কুসংস্কার, অভাবের কথা থাকত। আবার সেই সব অসুবিধা দূর করে মানুষ কী ভাবে তার চলার পথে এগিয়ে যাবে, তার দিগ্নির্দেশও থাকত।” “আলোর দিশারীপ্যারীমোহন” প্যারীমোহনের রচনা সংকলন। গ্রন্থ সম্পাদনার দায়িত্ব সামলেছেন প্যারীমোহনের পুত্র পরেশচন্দ্র দাস। বাংলায় প্যারীমোহন, ভাওয়াইয়ায় প্যারীমোহন, পাঁচালি এবং লোকনাটক অধ্যায়গুলি স্থান পেয়েছে এই সংকলনে। সম্পাদকের ভূমিকা-সহ প্রতি অধ্যায়েই রয়েছে প্যারীমোহনের রচনা। গ্রন্থে স্থান পেয়েছে কিছু আলোকচিত্র। বাদ পড়েনি শংসাপত্র, চিঠিপত্র, প্যারীমোহনের গদ্যশৈলী, মানুষ প্যারীমোহন, প্যারীমোহনের হস্তাক্ষর প্রভৃতি বিষয়গুলিও। প্যারীমোহনের ব্যবহৃত আঞ্চলিক শব্দের অভিধান সম্পর্কিত অধ্যায়টি সংকলনকে যে আরও সমৃদ্ধ করেছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। একজন বিরল প্রতিভাবান মানুষ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দেয় সংগ্রহযোগ্য এই সংকলন।
সুদীপ দত্ত

দিনহাটার ভূমি-পূত্র

তিনি কোচবিহারের দিনহাটার এক জন ভূমিপুত্র। কর্মসূত্রে বাঁকুড়া জেলার শালদিহা কলেজে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বিনয় বর্মনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়ে চলেছে ‘জার্নাল অফ সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটি রিসার্চ’। এই জার্নালে কলম ধরেছেন জাপান, বাংলাদেশ, নেপাল, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া ভারতের সমাজবিজ্ঞানীরা। পত্রিকায় উত্তরবঙ্গ বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার অন্বেষণ চলছে অন্তরালেই। ষাণ্মাসিক এই পত্রিকায় একের পর এক প্রকাশিত হয়েছে উত্তরবঙ্গের কোচ জনজাতি, দার্জিলং জেলার স্থান নাম, উত্তরবঙ্গে কামতাপুরি আন্দোলন, হিস্টোরিক্যাল জিওগ্র্যাফি অফ কামতা কোচবিহার, তেভাগা আন্দোলন এবং এর সাম্প্রদায়িক দিক, গোসানিমঙ্গল কাব্য অ্যান্ড হিস্টোরিক্যাল এসেন্স অফ নর্থ বেঙ্গল অ্যান্ড নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া -র মতো প্রবন্ধ। সম্প্রতি গুয়াহাটির মোহনচন্দ্র রিসার্চ সেন্টার এই গবেষক- সম্পাদককে “দাঁধী মোহন্ত মেমোরিয়াল সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড-২০১৪” প্রদান করল।
অনিতা দত্ত

ওদেরও প্রাণ আছে

ভোট এলে বোধহয় ভুলে যেতে হয় গাছের প্রাণের কথা। অথচ গোটা বছর মঞ্চ ফাটিয়ে ‘গাছ লাগান, গাছ বাঁচান’ স্লোগানে মুখরিত করেন তাঁরা। পরিবেশপ্রেমী সেজে মানুষের পাশে দাঁড়ান। গাছের গায়ে দলীয় পতাকা পেরেক ঠুকে লাগিয়ে প্রচারে ব্যস্ত প্রায় সব দল। আসলে মোদ্দা কথা ভোট। গাছেদের তো আর ভোট নেই। না ওরা কথা বলতে পারে। তাই মুখ বুজে সহ্য করে যায় রাজনৈতিক অত্যাচার। নির্বাচন কমিশনার সাহেব ওদের দিকে একটু দৃষ্টি দিন, না হলে যে অক্সিজেন হারিয়ে আমরা আর ভোট দিতেই পারব না।
শুভাশিস দাশ

uttar karcha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy