জলপাইগুড়ি শহরের প্রান্তের দুটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এলাকার পুর্নবিন্যাসের দাবি করছেন। আয়তন এবং লোকসংখ্যার বিচারে শহরের এই দুটি ওয়ার্ড বড়।
দুটি ওয়ার্ডেই নতুন এলাকা ঢুকে কলেবরে বড় হয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন তেমন কিছু হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সে করাণেই শহরের ১ নম্বর এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এলাকার পুর্নবিন্যাসের দাবি জানিয়েছেন। ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলরও ইতিমধ্যে পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে এই দাবি জানিয়েছেন।
১ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর জয়ন্তী পাল বলেন, “আগে করলা নদীর উত্তরপূর্ব পারের দিকে চারটি ওয়ার্ড ছিল। পরে তিনটি ওয়ার্ড করা হয়। এখন লোকসংখ্যা বেড়েছে। এই তিনটি ওয়ার্ড ভেঙে ছয়টি ওয়ার্ড করা দরকার।’’ ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলার ঝুনু রায় বলেন, “লোকসংখ্যা এবং আয়তনে এই ওয়ার্ডগুলি বিশাল শহরের মধ্যেখানে যে ছোট ওয়ার্ড আছে, তাদের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়। এই ওয়ার্ডগুলির জন্য একই টাকা বরাদ্দ হয়। সেই টাকা এই ওয়ার্ডগুলির জন্য যথেষ্ট নয়। ফলে উন্নয়নের কাজ ব্যহত হচ্ছে।”
১নম্বর ওয়ার্ডে আছে নবগঠিত স্পোর্টস ভিলেজ। ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দাবি স্পোর্টস ভিলেজকে মাঝখানে রেখে ওয়ার্ডকে দু’টি অংশে ভাগ করা হোক। ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে ধরধরা নদী। ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার দূর্বা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এত বড় এলাকা দুটি ওয়ার্ডে ভাগ করার জন্য আমরা পুরসভাকে আগেই জানিয়েছি। পুরসভা কিছুই করেনি।”
করলা নদীর উত্তরপূর্ব অংশের তিনটি ওয়ার্ডকে ভাগ করে ছয়টি ওয়ার্ড করতে চান পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসুও। তিনি বলেন, “আমি মনে করি ওয়ার্ডগুলিকে ভাগ করা দরকার। রাজ্য সরকারের কাছে ওয়ার্ডগুলির বিভাজন চেয়ে দাবি জানানো হয়েছে। লাগোয়া পঞ্চায়েত এলাকা থেকে পাহাড়পুর, অরবিন্দ, খাড়িয়া এবং পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের আংশিক অংশকে পুরসভার অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।”
জলপাইগুড়ি পুরসভা সুত্রে জানা যায় যে, জলপাইগুড়ি শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্য জনসংখ্যা সর্বাধিক। ২ নম্বর ওয়ার্ডে লোকসংখ্যা ৮ হাজার ৩৭৬ জন। ১ নম্বর ওয়ার্ড জনসংখ্যা ৬ হাজার ৭০৫ জন। ১ নম্বর ওয়ার্ডটি আগে ছোট ছিল। ৭০ দশকে ইন্দিরা কলোনি গঠিত হওয়ার পরে ওয়ার্ডের আয়তন বৃদ্ধি পায়। এরপর একটি এসজেডিএ হাউজিং কমপ্লেক্স এই ওয়ার্ডের মধ্যে ঢোকে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাসপাতালপাড়া এবং রায়কতপাড়ার জেলখানা লাগোয়া এলাকা ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে সংযোজিত করা হয়। ওয়ার্ডটির আয়তনও বৃদ্ধি পায়।
২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯৯৫ সালে রবীন্দ্র কলোনি সংযোজিত হয়। এই কলোনিটি আগে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে ছিল। এছাড়া উত্তর রায়কতপাড়া এলাকায় হিন্দি হাইস্কুল লাগোয়া এলাকায় একটা নতুন বসতি গড়ে উঠেছে। টোপামারী এলাকায়ও নতুন বসতি গড়ে উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই দুটি ওয়ার্ড বড় হয়েছে। দুটি ওয়ার্ডের মধ্যের রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা আছে। পানীয় জলের সমস্যা আছে উন্নয়ন তেমন কিছু হচ্ছেনা বলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy