রাজ্যে তথা উত্তরবঙ্গে কংগ্রেসের আর অস্তিত্ব নেই বলে কংগ্রেস কর্মীদের ‘লালকে’ ভোট দিতে আহ্বান জানালেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
শনিবার বিকেলে আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে এক জনসভায় কেন্দ্রে কংগ্রেসের দুর্নীতির পাশাপাশি বিজেপি’র আক্রমণ করেন তিনি। সূর্যবাবু বলেন, “কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার একের পর এক কেলেঙ্কারি করেছে। জিনিসের দাম বেড়েছে। বেকাররা চাকরি পাননি। কংগ্রেস কর্মীরা জানুক, ওদের হাইকমান্ড দলকে তৃণমূলের ঝুলিতে দিয়ে দিয়েছে। কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই। কংগ্রেস কর্মীদের উচিত লালেদের ভোট দেওয়া।” তিনি জানান, আমার যেখানে সভা করছি সেই আলিপুরদুয়ারে কংগ্রেস নেই। কালচিনিতে কিছু রয়েছে। বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদীর নাম না করে তিনি বলেন, “ওরা ধরে নিয়েছে ওরা প্রধানমন্ত্রী হয়েছে গিয়েছে। ইস্তাহার ছাড়াই একটা দল প্রচার করে যাচ্ছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “উনি মঞ্চে একদিক থেকে আর একদিকে হেঁটে বক্তব্য রাখেন। একই রকম ভাবে একবার বিজেপি একবার কংগ্রেসের দিকে তিনি যান। মা মাটি মানুষের সরকার বলেও মানুষের থেকে দূরে সরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলছেন গরিবের দল আর প্রচারে দিয়ে চাটার্ড প্লেন চড়ছেন। নির্বাচনের কমিশনের বিষয়টি দেখা দরকার।” তিনি আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থী আরএসপির দলত্যাগী নেতা দশরথ তিরকেরও নাম না করে সমালোচনা করেন। সূর্যবাবুর বক্তব্যের প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় বলেন, “সূর্যবাবুর মতিভ্রম হয়েছে। উনি ভুলেই গিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের একজন কংগ্রেস বিধায়ক আছেন। ভোটের পর উনি টের পাবেন উত্তরবঙ্গ তো বটেই রাজ্যে কংগ্রেস রয়েছে কী না।” আর তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষ সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “বাম নেতারা তাহলে স্বীকার করছেন বাম নেতাদের কেনাবেচা করা যায়। এতে উনি বাম নেতাদের অপমান করলেন। আসলে সূর্যবাবুদের দিকে মানুষ আর তাকাচ্ছে না, তাই ওঁরা নানা ধরনের কথাবার্তা বলছেন।”
আলিপুরদুয়ারের আরএসপি প্রার্থী মনোহর তিরকে ও কুমারগ্রাম বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী মনোজ ওরাঁওয়ের সমর্থনে প্রচার করেন বাম নেতারা। আরএসপি’র শ্রমিক ইউটিইউসির রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে বলেন, “রাজ্যে দস্যুরানি ফুলনদেবীর রাজ চলছে। খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ প্রতিনিয়ত ঘটছে। পুলিশ নির্বিকার।”