উন্নয়নের কাজের গতি আরও বাড়ানোর কথা বলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের চারটি শাখা খোলার ঘোষণা করা হল। রবিবার প্রায় ৫ ঘন্টা শিলিগুড়ির মুখ্যমন্ত্রীর শাখা সচিবালয় উত্তরকন্যায় উত্তরবঙ্গের সাত জেলার জেলাশাসক, সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী, সভাধিপতি-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, চলতি আর্থিক বছরের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কাজকর্ম, প্রকল্প, পরিকল্পনা ও প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হয়। সেখানেই শিলিগুড়ির দফতরটি থেকে থেকে বিভিন্ন জেলার দূরত্ব, কাজের সমন্বয় এবং অফিসার-বাস্তুকারদের কাজের সুবিধার জন্য নতুন শাখা তৈরির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। বুনিয়াদপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং কার্শিয়াঙে ওই শাখাগুলি খোলা হবে।
মন্ত্রী বলেন, “চলতি আর্থিক বছরে আমরা প্রায় ৫০০ কোটি টাকার কাজ করছি। সাত জেলা জুড়ে নানা ধরণের প্রকল্প হচ্ছে। এরমধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষের পথে বা টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে কাজের গতি, পরিধি, আরও বাড়বে। তাই বিভিন্ন জেলায় শাখা খোলাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।”
তিনি জানান, আপাতত দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর থেকে দুই দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার কাজকর্ম দেখা হবে। কোচবিহারের দফতর থেকে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার কাজ হবে। জলপাইগুড়ির জন্য একটি এবং পাহাড়ের জন্য আলাদা করে কার্শিয়াঙে দফতর করা হচ্ছে। পরবর্তীতে প্রতিটি জেলায় দফতরের একটি করে শাখা অফিস থাকবে। শাখাগুলি থেকে অফিসার, বাস্তুকারের সে জেলার প্রকল্পের সমস্ত কাজ করবেন।
সরকারি সূত্রের খবর, এ দিন আগামী আর্থিক বছরের জন্য প্রকল্প-প্রস্তাব সাতদিনের মধ্যে জেলাশাসকদের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে জমা দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য,পর্যটন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং বালুরঘাটে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিকাঠামো গড়ে তোলা নিয়ে কথা হয়েছে। জলপাইগুড়িতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যায়ে স্পোটর্স কমপ্লেক্সের প্রথম পর্যায়ের কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর পরবর্তীতে উত্তরবঙ্গে সফরে তাঁকে নিয়ে সেটি উদ্ধোধন করানো হবে বলে ঠিক হয়েছে।
এ ছাড়া নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি থেকে বাংলাবান্ধা অবধি রাস্তা সম্প্রসারণ এবং চারটি এলাকায় রেল লাইনের উপর উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মেন্দাবাড়ি, সুকনা, চালসা, চটকপুর, দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ও চিলাপাতার মত এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র তৈরির কাজ চলতি বছরেই হাত দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, আমরা আগামী ২/৩ বছরের জন্য একটি ‘স্কিম ব্যাঙ্ক’ তৈরির কাজে হাত দিয়েছি। এ ছাড়াও গত তিন বছরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর কী কী কাজ করেছে, কী করছে বা করবে তার পুস্তিকা তৈরি করা হচ্ছে। নানা মাধ্যমের সাহায্যে তা সাধারণ বাসিন্দাদের তা জানানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy