Advertisement
E-Paper

কেন্দ্র না পেয়ে পরীক্ষায় দেরি, স্কুলে বিক্ষোভ জলপাইগুড়িতে

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৪ ০১:৫৫
রানিনগর রবীন্দ্রনাথ হাইস্কুলের সামনে পরীক্ষার্থীদের জমায়েত। বুধবার সন্দীপ পালের তোলা ছবি।

রানিনগর রবীন্দ্রনাথ হাইস্কুলের সামনে পরীক্ষার্থীদের জমায়েত। বুধবার সন্দীপ পালের তোলা ছবি।

উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই হয়রানির শিকার হলেন পরীক্ষার্থীরা। বুধবার জলপাইগুড়ির ঘটনা।

পড়ুয়াদের পরীক্ষা কেন্দ্র কোথায় তা সঠিক ভাবে জানানো হয়নি স্কুলের পক্ষ থেকে। তার জেরেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন নির্দিষ্ট স্কুল খুঁজে না পেয়ে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে হন্যে হয়ে ঘুরতে হল পাতকাটা গ্রামের রানিনগর রবীন্দ্রনাথ হাইস্কুলের শতাধিক পরীক্ষার্থীকে। বুধবার তাঁদের অনেকে খোঁজখবর নিয়ে এক ঘণ্টা পরে কেন্দ্রে পৌঁছন। এর পর পরীক্ষা দিতে বসলেও তাঁদের বাড়তি সময় দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে অভিভাক এবং পড়ুয়ারা জলপাইগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে ওই স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের ঘেরাও করে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান। অভিভাবকদের অভিযোগ, কোন স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা কেন্দ্র সেটা সঠিক ভাবে না জানানোয় পরীক্ষার্থীদের কেউ ঠিক মতো পরীক্ষা দিতে পারেননি।

এ দিন রানিনগর রবীন্দ্রনাথ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী দত্ত ছুটিতে ছিলেন। সহকারি প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ তালুকদার বলেন, “প্রধান শিক্ষিকা যে স্কুলের কথা বলেছেন সেখানে গিয়ে ছাত্রছাত্রীরা জানতে পারে ওখানে তাঁদের পরীক্ষা কেন্দ্র নয়। এর পরে কোথায় পরীক্ষা কেন্দ্র তা খোঁজ নিয়ে সে দিকে রওনা হন বলে জেনেছি। ঘটনাটি জানার পরে প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাঁর পরে তিনি কী করেছেন বলতে পারব না।” ওই ঘটনার কথা শোনার পরে ক্ষুব্ধ স্কুল পরিদর্শক (সেকেন্ডারি) স্বপন সামন্ত বলেন, “কোন স্কুলের কোথায় সিট পড়বে সেটা জানাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে দু’দফায় বৈঠক হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা কেন্দ্রের নামের ছাপানো তালিকা দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা একটি বৈঠকেও হাজির ছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে রিপোর্ট পাঠাব।” পর্ষদের জেলা উপদেষ্টামণ্ডলীর যুগ্ম আহ্বায়ক হরিদয়াল রায় বলেন, “এমন গাফিলতি মেনে নেওয়া যায় না। পর্ষদের সচিবকে বিষয়টি জানিয়েছি।” স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমীদেবী টেলিফোনে বলেন, “অসুস্থ থাকায় পর্ষদের বৈঠকগুলিতে থাকতে পারিনি। এর বেশি বলব না।”

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়মিত এবং সিসি মিলিয়ে এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০৪ জন। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, স্কুল থেকে তাঁদের জানানো হয় জলপাইগুড়ি শহরের আনন্দ মডেল হাই স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র। সেই মতো অনেকে গাড়ি ভাড়া করে, কেউ মোটরবাইকে চেপে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে বার হন। আনন্দ মডেল স্কুলে পৌঁছে জানতে পারেন সেখানে তাঁদের সিট পড়েনি। অন্য স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র। কিন্তু কোন স্কুলে সেই কেন্দ্র সেটা প্রথমে কেউ জানাতে পারেনি বলে অভিযোগ। সুবল মণ্ডল, নারায়ণ মণ্ডলের মতো পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, স্কুলে যোগাযোগ করা হলে সঠিক ভাবে কেউ কিছু জানাতে পারেননি। এর পরে অনেক খোঁজ করে তাঁরা জানতে পারেন অরবিন্দ হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে হবে। সেখানে পৌঁছে দেখা যায় ছাত্রদের জন্য ওই কেন্দ্রে ঠিক হলেও ছাত্রীদের পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ে। এ ভাবে বেলা সাড়ে ১১ টা হয়ে গেলে ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষায় বসেন।

higher secondary examination jalpaiguri student demostration examination centre
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy