ফালাকাটা-ধূপগুড়ি সড়কে কুয়াশা। সোমবার রাজকুমার মোদকের তোলা ছবি।
শীতের শুরুতে কুয়াশার জেরে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটল উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মূলত দিল্লি থেকে আসা ট্রেনগুলিই বেশি দেরিতে ঢুকেছে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। অসমের দিক থেকে আসা ট্রেনগুলি নির্ধারিত সময়ে ঢুকেছে বলেই জানানো হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ির এরিয়া ম্যানেজার পার্থসারথি শীল বলেন, “মূলত দিল্লির ট্রেনগুলিই দেরিতে ঢুকেছে। ২ ঘন্টা থেকে ৫ ঘন্টা পর্যন্ত দেরি করেছে ট্রেনগুলি। শীতের সময়ে ঘন কুয়াশায় দেখতে সমস্যা হওয়াতেই এই বিপত্তি। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সমস্যা হয়।”
স্টেশন সূত্রে জানানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন ইতিমধ্যেই দেরিতে হলেও কয়েকটি ট্রেন সন্ধ্যা পর্যন্ত নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছায়নি। সিকিম মহানন্দা এক্সপ্রেস দুপুর দেড়টা নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ঢোকার কথা ছিল, ট্রেনটি বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঢুকেছে। নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেসের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ঢোকার কথা ছিল সকাল সাড়ে আটটায়। ট্রেনটি ৫ ঘন্টা দেরিতে চলছে। অবধ অসম এক্সপ্রেসের ঢোকার সময় ছিল বিকেল ৫ টা ৫৫ তে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রেনটি ঢোকেনি। নিউ দিল্লি-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের ঢোকার সময় ছিল সকাল ১১ টা ৪৫ এ। ট্রেনটি ২ ঘন্টা দেরিতে ঢুকেছে। ব্রহ্মপুত্র মেল ৪ টা ৫৫ ঢোকার কথা ছিল। ট্রেনটি ৫ ঘন্টা দেরিতে ঢুকেছে। পূর্বোত্তর সম্পর্কক্রান্তি ট্রেন ঢুকেছে ভোর পাঁচটায়। অথচ ট্রেনটির ঢোকার কথা ছিল রাত ১২ টায়। শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে আসার পদাতিক এক্সপ্রেস এবং উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনটিও তিন ঘন্টা দেরিতে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। ট্রেন দেরিতে আসায় সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের।
নিউ জলপাইগুড়ি যাত্রী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দীপক মহান্তি বলেন, “ট্রেনগুলি দেরিতে ঢোকায় যাত্রীরা সমস্যায় পড়ে। অসম যাওয়ার জন্য যে সব যাত্রী অপেক্ষা করছিলেন তাঁদেরই ঠান্ডায় সমস্যা হয়। এ বিষয়ে এনজেপির স্টেশন ম্যানেজারকে জানানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy