Advertisement
২২ মে ২০২৪
প্রধান শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যু

গাফিলতি হচ্ছে তদন্তে, থানায় অভিযোগ স্ত্রী-র

রায়গঞ্জের বন্দর উদয়চন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক রাজীব বসাক অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন মৃতের স্ত্রী। তবে ঠিক কীভাবে রাজীববাবুর মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। রবিবার রায়গঞ্জের রবীন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা মৃতের স্ত্রী তথা শিক্ষিকা সোনালিদেবী তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদেরও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৪ ০২:০৩
Share: Save:

রায়গঞ্জের বন্দর উদয়চন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক রাজীব বসাক অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন মৃতের স্ত্রী। তবে ঠিক কীভাবে রাজীববাবুর মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। রবিবার রায়গঞ্জের রবীন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা মৃতের স্ত্রী তথা শিক্ষিকা সোনালিদেবী তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদেরও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।

সোমবার সোনালিদেবী বলেন, “দু’দিন হয়ে গেল। পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে পারল না। তদন্তের স্বার্থে স্বামীর মোবাইলও পুলিশ নেয়নি। মোবাইলটিও আমার কাছে রয়েছে। কী তদন্ত হচ্ছে বুঝতে পারছি না। প্রয়োজনে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হব।” সোনালিদেবী রবিবার দুপুরে রায়গঞ্জের খরমুজাঘাট এলাকার বাসিন্দা রাজীববাবুর বান্ধবী গীতা বসু, তাঁর স্বামী গোবিন্দ বসু ও গীতাদেবীর ভাই সুশান্ত দাসের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেভিড ইভান লেপচা জানান, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে। রায়গঞ্জ থানার আইসি গৌতম চক্রবর্তী জানান, “অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত রাজীববাবুর মৃত্যুর কারণ সঠিক ভাবে বলা সম্ভব নয়। যখন দরকার হবে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হবে।”

পুলিশ সূত্রের খবর, গত শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ গীতাদেবী অসুস্থ অবস্থায় রাজীববাবুকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করতেই তিনি উধাও হয়ে যান বলে অভিযোগ। এদিনও অভিযুক্তরা সকলে পলাতক বলে পুলিশ দাবি করেছে। ঘটনার পর রাজীববাবুর প্যান্টের পকেট থেকে ছয়টি ঘুমের ট্যাবলেট উদ্ধার হয় বলে পুলিশ জানিয়েছিল। সোনালিদেবী দাবি, “স্বামী ঘুমের ওষুধ বা কোনও নেশাজাতীয় তরল খেতেন না। ওঁকে চায়ের সঙ্গে নেশাজাতীয় বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে।” তিনি জানান, গীতা আমার স্বামীর ভাল বান্ধবী ছিল। দুই পরিবারের যাতায়াত ছিল। তার পরেও ওরা কেনও আমার স্বামীকে খুন করল তা বুঝতে পারছি না। পুলিশ সক্রিয় না হলে এর কারণ বার হবে না।

শনিবার রাতে গীতাদেবীর স্বামী ও ভাই বাড়িতে ছিলেন না। গীতাদেবী একাই বাড়িতে ছিলেন। আর ঘটনার পরেই রাজীববাবুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও গীতাদেবী কেন সেখান থেকে পালিয়ে গেলেন তাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, মাদক কিছু খেয়েই সম্ভবত রাজীববাবুর বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়। তাঁর ভিসেরা পরীক্ষা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে তা আরও পরিষ্কার হবে। সোনালিদেবী বলেন, “স্বামীর মৃত্যুর পর অনেকেই ওঁর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এটা ঠিক নয়। উনি ভাল মানুষ ছিলেন। কোনও স্বার্থসিদ্ধি করতে না পেরে অভিযুক্তেরা স্বামীকে খুন করেছে বলেই আমার সন্দেহ।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

royganj murder rajib bosak head muster
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE