Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

গণধর্ষণের পর খুন, অভিযোগ রায়গঞ্জে

হাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক মহিলাকে গণধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জে। শনিবার দুপুরে রায়গঞ্জের ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয়তন এলাকার একটি গমক্ষেত থেকে ওই মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জেরে ওই মহিলা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ফরসাডাঙি এলাকায় বাপের বাড়িতে থাকতেন।

জলপাইগুড়িতে কমলা লেবু কেনার হিড়িক। ছবি: সন্দীপ পাল।

জলপাইগুড়িতে কমলা লেবু কেনার হিড়িক। ছবি: সন্দীপ পাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৪৩
Share: Save:

হাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক মহিলাকে গণধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জে।

শনিবার দুপুরে রায়গঞ্জের ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয়তন এলাকার একটি গমক্ষেত থেকে ওই মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জেরে ওই মহিলা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ফরসাডাঙি এলাকায় বাপের বাড়িতে থাকতেন। এ দিন বাসিন্দারা রাস্তার ধারের ওই গমক্ষেতে ওই মহিলার বিবস্ত্র রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায়।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে। মৃতদেহে অত্যাচারের চিহ্ন মিলেছে। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, “নিহতের পরিবারের তরফে নির্দিষ্টভাবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিশ একটি ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের করে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে ধরার চেষ্টা করছে।”

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রায় ১৩ বছর আগে রায়গঞ্জের পানিশালা এলাকার এক দিনমজুরের সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ে হয়। তাঁদের তিন ছেলেও রয়েছে। বছর দুয়েক আগে ওই মহিলার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তারপর থেকে মহিলা বাপের বাড়িতেই থাকতেন। ছেলেরা বাবার সঙ্গেই থাকত।

ওই মহিলা বাপের বাড়িতে তাঁর তিন দাদার কাছে থাকতেন। নিজে দিনমজুরি ও পৈতৃক জমিতে চাষাবাদ করে নিজের খরচ জোগাতেন। তাঁর কাকা জানান, শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ শাড়ি কেনার জন্য তিনি বাড়ি থেকে হেঁটে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ভাটোল হাটে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা ৭ নাগাদ হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু সাড়ে আটটা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় তাঁকে সারা রাত খোঁজাখুঁজি করেন তাঁর পরিবারের লোকজন। পরের দিন দুপুরে বাসিন্দারা গমক্ষেতে তাঁর বিবস্ত্র রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। মৃতার কাকা বলেন, “বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে এ দিন দুপুরে ওই গমক্ষেতে ভাইঝির বিবস্ত্র রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখি। ভাইঝিকে গণধর্ষণ করে গলা টিপে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা।” নিহতের দাদার সন্দেহ, একাধিক দুষ্কৃতী মিলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

gang rape murder raiganj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE