জুতোর সুকতলায় লুকিয়ে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার মাদক পাচারের ছক কষা হয়েছিল। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই মাদক ধরল কেন্দ্রীয় শুল্ক বিভাগ। শুক্রবার রাতে শিলিগুড়ির একটি ক্যুরিয়র সার্ভিসের অফিস থেকে দুটি বস্তায় বোঝাই ৩০ জোড়া জুতো উদ্ধার করেছেন শুল্ক বিভাগের অফিসাররা। গৌতম সরকার নামে নকশালবাড়ি এলাকার এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রায় ৬ কিলো মাদক মিলেছে, যার বাজার মূল্য অন্তত ৬০ লক্ষ টাকা। বস্তা বোঝাই করে ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে মাদক বোঝাই জুতোগুলি নেদারল্যান্ডে পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছিল। গৌতম জুতোর বস্তা নেদারল্যান্ডে পাঠানোর জন্য ক্যুরিয়ারে জমা দিয়েছিলেন। তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, ধৃত যুবকের মাধ্যমে বড় কোনও পাচারকারী চক্র মাদক পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল। সেগুলি নেপাল থেকে এসেছিল।
কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের প্রিভেনশন এবং ইনভেস্টিগেশন বিভাগের শিলিগুড়ির সুপারেন্টেডেন্ট পলজন ছিরিং ইয়েলমো বলেন, “ক্যুরিয়র সংস্থার তরফেই সন্দেহ করে আমাদের খবর দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো শুক্রবার রাতে গিয়ে বস্তাগুলি নিয়ে এসে হাসিস উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরে নানা সূত্রে খবর নিয়ে শনিবার সকালে গৌতম সরকার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই জুতোগুলি নেদারল্যান্ডে পাঠানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছে ধৃত যুবক।”
শুল্ক দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, নেপালে তৈরি ওই মাদকের চাহিদা বিশ্বজোড়া। নেদারল্যান্ড, ব্যাঙ্কক সহ নানা দেশে নিয়মিত চোরা পথে তা পৌঁছয় বলে অভিযোগ। শুল্ক দফতরের কর্তারা তা জানলেও, পাচার হওয়া মাদকের সিংহভাগই পুলিশ বা শুল্ক দফতরের নাগালে আসে না। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার গৌতম হাকিমপাড়ার একটি ক্যুরিয়র সংস্থায় দুই বস্তা জুতো নেদারল্যান্ডে পাঠানোর জন্য জমা দেন। কিছু নথি জমা দিলেও, বাকি নথি জমা দেওয়া হয়নি। প্রথম দিনের পরে তিনি আর ক্যুরিয়র অফিসেও যাননি। তিন দিন ধরে বস্তাটি অফিসে পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় সংস্থার। তারা শুল্ক দফতরে খবর দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy