জানুয়ারি থেকে ফের চালু হচ্ছে চকচকা শিল্পতালুকের বন্ধ চটকল। সোমবার বিকেলে কোচবিহার জেলা শ্রম দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে নতুন বছরের প্রথম মাসের মাঝামাঝির মধ্যে চটকলের উত্পাদন পুরোপুরি স্বাভাবিক করার ব্যাপারে মালিকপক্ষের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়। তাই নতুন বছরের শুরুতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন কারখানার ছ’শো শ্রমিক। প্রায় এক মাস ধরে কর্মহীন ছিলেন তাঁরা।
কোচবিহারের সহকারি শ্রম কমিশনার সুমন্ত রায় বলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মালিকপক্ষ চটকলটি খুলবেন বলে জানিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেবেন। কারও কর্মহীন হয়ে পড়ার সম্ভবনা নেই কিছুদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে মালিক পক্ষের তরফে ওই চটকলের জেনারেল ম্যানেজার দিলীপকুমার খাঁ, আইএনটিটিইউসির তরফে সংগঠনের কোচবিহার জেলা সভাপতি প্রাণেশ ধর প্রমুখও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে শ্রমিক সংগঠনের তরফে ‘কর্মীদের একাংশের গরহাজিরা’ বন্ধের ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।
তারপরেই বন্ধ কারখানার বিভিন্ন ইউনিট চালুর জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন জানিয়ে মালিকপক্ষের তরফে পর্যায়ক্রমে শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বৈঠকে ওই ব্যাপারে কোনও দ্বিমত তৈরি হয়নি।
দিলীপবাবু বলেন, “প্রথম দিন চটকলটি চালুর সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত ইউনিট চালু হবে না। কিছুদিন সময় লাগবে। সব কর্মীকে কাজে ফেরানোর ব্যাপারে আমরা ওই সময়টুকু চেয়েছি। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে চটকলটি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করছি।”
প্রাণেশবাবু বলেন, “নববর্ষের মুখে এই সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের কাছে একটা বড় প্রাপ্তি। উত্পাদন চালু হলেই গরহাজিরা নিয়ে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে গরহাজিরার অভিযোগ তুলে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে চকচকা শিল্পতালুক চত্বরের ওই চটকলে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’ বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। পরে দু’দফায় বৈঠক হলেও জট কাটেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy