হোলির দু’দিন কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি পুলিশের পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়ে দেন, এই দু’দিন রং খেলা এবং অন্য যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ হেল্পলাইন বিশেষ তত্পর থাকবে। যে কোনও সমস্যায় পড়লে ১০০ নম্বর ছাড়াও ০৩৫৩-২৬৬২২১০ নম্বরে ফোন করা যাবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক পুলিশ বাহিনীকে বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হচ্ছে। ফোন পেলেই ২ মিনিটের মধ্যে এলাকায় পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কমিশনার। তিনি বলেন, “হোলিকে শান্তিপূর্ণ রাখতে সব রকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। দুর্বৃত্তদের সঙ্গে কোনও রকম সমঝোতা করা হবে না। বিশেষ করে মহিলাদের সঙ্গে হোলির দু’দিন কোনও রকম অভব্যতা করলেই গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।” এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ডিসি (সদর) অংমু গ্যামসো পাল এবং ডিসি (ট্রাফিক) শ্যাম সিংহ।
এবার ‘অ্যান্টি ইভটিজ়িং স্কোয়াড’ তৈরি করা হচ্ছে। তারা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াবেন। কোথাও আপত্তিকর কিছু দেখলেই হস্তক্ষেপ করবে। থানাগুলোতে রাখা হচ্ছে দুটো করে ‘কুইক রেসপন্স টিম’। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে থাকবে একটি করে বিশেষ বাহিনী। হাসমি চক, সেবক মোড়, মহানন্দা মোড়, কোর্ট মোড়, দার্জিলিং মোড়, খাপরাইল মোড়, জলপাই মোড়ে বা ঝংকার মোড়ে পুুলিশ মোতায়েন থাকবে সকাল থেকেই। ‘অ্যান্টি ইভটিজ়িং স্কোয়াড’-এ একজন সাব ইন্সপেক্টর, এবং ৫ জন কনস্টেবল থাকবে। তার মধ্যে তিনজন মহিলা কনস্টেবলও রাখা হয়েছে। শহর জুড়ে ঘুরবে পুলিশ টহল ভ্যান। প্রতিটি থানা এলাকার জন্য দুটি করে ভ্যান দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এলাকার দূরত্বের কথা মাথায় রেখে নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ি এবং আমবাড়ির জন্য একটি করে ভ্যান দেওয়া হচ্ছে।
হোলির সময় থেকে চালু হয়ে যাচ্ছে মোটরবাইকের প্রতিটি সওয়ারির জন্য হেলমেট। পিছনের সওয়ারি হেলমেট না পড়লে জরিমানা করা হবে বিশেষ নজর রাখা হবে মদ্যপ চালকদের প্রতিও। ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার নিয়ে বিভিন্ন মোড়ে হাজির থাকবেন পুলিশ কর্মীরা। কাউকে বেসামাল মনে হলেই গ্রেফতার করা হবে বলেও এদিন জানানো হয়।