অবরোধ। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।
সরকারি জমি জবর দখল করে দোকান ঘর তৈরি করা এবং ব্যবসায়ী সমিতির অফিস দখল করে দোকান বানানোর হুমকি দেওয়ায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবিতে আড়াই ঘণ্টা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ব্যবসায়ীরা। রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত মালদহ-বুলবুল চণ্ডী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদের এই সড়ক অবরোধের জেরে বুলবুলচণ্ডী, নালাগোলা, বামনগোলা রুটে যান চলাচল এক রকম বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পরে অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হলে ব্যবসায়ীরা অবরোধ তুলে নেন। অভিযুক্তদের একাংশ হুমকি দেওয়ার সময়ে নিজেদের তৃণমূল সমর্থক বলেও ব্যবসায়ীদের জানায় বলে অভিযোগ। যদিও, তৃণমূল কংগ্রেসে পক্ষ থেকে অবশ্য দুই অভিযুক্তের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করে, ধৃতদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদহের সদরঘাট এলাকায় পূর্ত দফতরের জমিতে বছর দশেক আগে সদরঘাট ব্যবসায়ী সমিতি একটি অস্থায়ী ব্যবসায়ী সমিতির অফিস ঘর তৈরি করেছিল। এরপর ওই এলাকায় পূর্ত দফতরের জমি দখল করে একের পর এক ঘর তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ওই ব্যবসায়ী সমিতির অফিসের পাশে স্থানীয় পাঁচ-ছয়জন যুবক পূর্ত দফতরের জমি দখল করে ১০ টি দোকানঘর তৈরি করে বলে অভিযোগ। পূর্ত দফতরের গাজল হাইওয়ে ডিভিশনের সহকারী বাস্তুকার মালদহ থানায় অবৈধ নিমার্ণ বন্ধের অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ সেই নির্মান বন্ধ করার কোনও উদ্যোগ নেয়নি। গত শনিবারও অভিযুক্তরাই ব্যবসায়ী সমিতির অফিস দখল করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এরপরেই রবিবার অবরোধ করে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের জেলা সম্পাদক উজ্জল সাহা অভিযোগ করে বলেন, “পূর্ত দফতরের জমি দখল করে যারা দোকানঘর তৈরি করেছিল তারাই সমিতির অফিস দখল করতে এসেছিল। পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের সকলকে পুলিশ গ্রেফতার না করলে ফের পথে নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হব।” মালদহ থানার আইসি আশিস দেব বলেন, “দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।” পূর্ত দফতরেরে গাজল হাইওয়ে বিভাগের সহকারী বাস্তুকার কৌশিক কর্মকার বলেন, “জমি দখল করে দোকানঘর তৈরির হওয়ার খবর পাওয়ার পরেই অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশি সাহায্য না মেলায় অভিযান করা যায়নি।” জেলা পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরেছি। কীভাবে সরকারি জায়গায় বেআইনিভাবে নির্মাণ হয়েছে, নির্মাণ হয়ে থাকলে কেনই বা তা শুরুতেই ভাঙা হয়নি, খতিয়ে দেখা হবে। দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।”
অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডু এ দিন বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তবে আমরা খোঁজ নিয়ে জেনে নিয়েছি ওরা কেউই শাসক দলের সক্রিয় সমর্থক নয়।” তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “দলের সঙ্গে অভিযুক্তদের কোনও রকম যোগাযোগ নেই। পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy