Advertisement
E-Paper

ন’বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন, বিক্ষোভ কালিয়াচকে

ভাইকে সঙ্গে নিয়ে দুপুরে জ্বালানি কাঠ জোগাড় গিয়েছিল খুবই দরিদ্র একটি পরিবারের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী। ঘণ্টাখানেক পরে ৬ বছরের ভাই বাড়িতে ফিরে এলেও ৯ বছরের ছাত্রীটির খোঁজ মেলেনি। শনিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে একটি নির্জন এলাকা থেকে ওই ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত, অর্ধনগ্ন দেহ মেলে। মালদহের কালিয়াচক এলাকার ওই পরিবারের অভিযোগ, জ্বালানি কাঠ জোগাড় করে দেওয়ার টোপ দিয়ে তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:২১
দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ রবিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদহের কালিয়াচক। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা থানা ঘেরাও করেন। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও। ভাঙচুর হওয়া গাড়ি।

দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ রবিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদহের কালিয়াচক। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা থানা ঘেরাও করেন। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও। ভাঙচুর হওয়া গাড়ি।

ভাইকে সঙ্গে নিয়ে দুপুরে জ্বালানি কাঠ জোগাড় গিয়েছিল খুবই দরিদ্র একটি পরিবারের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী। ঘণ্টাখানেক পরে ৬ বছরের ভাই বাড়িতে ফিরে এলেও ৯ বছরের ছাত্রীটির খোঁজ মেলেনি। শনিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে একটি নির্জন এলাকা থেকে ওই ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত, অর্ধনগ্ন দেহ মেলে। মালদহের কালিয়াচক এলাকার ওই পরিবারের অভিযোগ, জ্বালানি কাঠ জোগাড় করে দেওয়ার টোপ দিয়ে তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।

পাশের গ্রামে এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ছাত্রীর পরিবার। রাতেই অভিযুক্ত যুবক ধরা পড়েছে। ধৃতকে থানায় নিয়ে এলে বাসিন্দারা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ধৃতকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ির কাচ ভেঙে দেয় বলেও অভিযোগ। বাড়তি বাহিনী এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম করিমুল্লা শেখ। পেশায় দিনমজুর। বাড়ি মোজমপুরে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, করিমুল্লা ওই ছাত্রী ও তার পরিবারকে চিনত। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে ভাইকে নিয়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে বাড়ি থেকে বের হয় ওই ছাত্রী। ছাত্রীটির বাবা পেশায় দিনমজুর। তবে তিনি অসুস্থ। ছাত্রীর মা বিড়ি বাঁধার কাজ করেন। সেই আয়ে সংসার চলে। অর্থাভাবেই গাছের ডাল জ্বালানি হিসেবে জোগাড় করে আনা হয়। তাই আনতে গিয়েছিল ভাই-বোন। অভিযোগ, করিমুল্লা ছাত্রীটিকে প্রথমে গাছ থেকে কয়েকটি ডাল ভেঙে দেয়। সেগুলি ছাত্রীর ভাইকে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় করিমুল্লা। তারপরে আরও জ্বালানি জোগাড় করে দেওয়ার টোপ দিয়ে ছাত্রীটিকে অন্যত্র নিয়ে যায়।

রাতেও ছাত্রীটি না ফেরায় পরিবারের লোকেরা বাগানে খোঁজ শুরু করে। রাতে পাশের গ্রামে একটি জলাশয়ের ধারে তার দেহ মেলে। ছাত্রীর গলার নলি কাটা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলের নীল জামা এবং সাদা ফুলপ্যান্ট পরে বেরিয়েছিল ছাত্রীটি। প্যান্টটি মুখে গোঁজা অবস্থায় দেহ মেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় করিমুল্লা অভিযোগ মেনেছে। মালদহের এসপি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। গ্রামে উত্তেজনা ছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।”

রবিবারও বিক্ষোভ দেখান গ্রামের বাসিন্দারা। পড়ুয়ারাও থানায় গিয়ে অভিযুক্তকে কড়া শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। নিহত ছাত্রীর বাবা বলেন, “ছেলে ফিরে এসে জানায় দিদি করিমুল্লার সঙ্গে গিয়েছে। ওর যেন কঠিন শাস্তি হয়।”

—নিজস্ব চিত্র।

minor rape kaliachak
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy