নবগঠিত আলিপুরদুয়ার জেলার পর্যটনের উন্নয়ন নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করলেন হোটেল মালিক ও ট্যুর অপারেটররা। তবে এ দিনের বৈঠকে ট্যুরিস্ট গাইডদের ডাকা হয়নি।
বুধবার দুপুরে আলিপুরদুয়ার ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠকে জেলাশাসক অ্যালিস ভেজকে পর্যটনের উন্নয়ন নিয়ে একাধিক প্রস্তাব দেন হোটেল মালিকেরা। আলিপুরদুয়ার-কলকাতা ট্রেন যোগাযোগ বাড়ানো, বক্সা দুর্গ সংরক্ষণ ও বিভিন্ন এলাকায় পর্যটন পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ দিন বৈঠক শেষে জেলাশাসক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক নিখিল নির্মল বলেন, “বৈঠকে বেশ কিছু প্রস্তাব এসেছে। তা দেখে পর্যটনের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আলিপুরদুয়ার নতুন জেলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্সা পাহাড়, জয়ন্তী, চিলাপাতা, জলদাপাড়া-সহ অন্য এলাকায় পর্যটনের বিকাশের কথা বলেছিলেন। এ দিন বৈঠকের পরে চিলাপাতার লজ মালিক গনেশ শা বলেন, “চিলাপাতার জঙ্গলে সকাল ১০টি ও বিকেলে ১০টি জিপসি গাড়ি দিয়ে সাফারি হয়। পর্যটন মরসুমে ভীড় এত বেড়ে যায় যে অনেকে জিপসি না পেয়ে ফিরে যান। আমরা জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছি যে আগামী পর্যটন মরশুমে জঙ্গল সাফারির জন্য সকালে ২০টি ও বিকেলে ২০টি করে গাড়ি চালানো হোক।”
ট্যুর অপারেটর তমাল গোস্বামী বলেন, “নতুন জেলায় পর্যটনের উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাত দিনের মধ্যে বৈঠক ডাকতে বলেছিলেন। জেলা ট্যুরিজম কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছি। ওই কমিটি যাতায়াত, হোম-স্টে ও লজের উপর নজর রাখবে। হোম-স্টে ও লজগুলিকে তাদের পরিষেবা ও মান অনুযায়ী ভাগ করার প্রয়োজন রয়েছে।” আলিপুরদুয়ারের হোটেল মালিক শিবলাল চৌধুরি জানান, আলিপুরদুয়ার-কলকাতা যোগাযোগের জন্য আরও বেশ কয়েকটি ট্রেন বাড়ানো হলে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে।
এ দিন বৈঠকে ডাকা না হলেও বৈঠকে উপস্থিত হন জয়ন্তী এলাকার ট্যুরিস্ট গাইড সংগঠনের সম্পাদক শেখর ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “পর্যটকেরা মূলত জঙ্গলে গিয়ে লজ বা হোম-স্টেতে থাকেন। সেখানে জঙ্গল পাহাড় ঘুরে দেখান ট্যুরিস্ট গাইডেরা। পর্যটনের মূল সমস্যা তাঁরাই জানেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় জেলা প্রশাসন তাঁদের কাউকে ডাকেনি। আমরা সমস্যা মেটাতে ও আলিপুরদুয়ারের পর্যটনের জায়গা চিহ্নিত করে পর্যটন জোন বানানোর জন্য জেলাশাসককে বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা হল না। বিষয়টি শীঘ্রই ফ্যাক্স মারফত মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy