ধান তো হয়ই, তার সঙ্গে সর্ষে, আলু-সহ নানা সব্জি চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন আলিপুরদুয়ারের শালকুমার হাটের বেশির ভাগ বাসিন্দা। বেশ কিছু বছর ধরে ভিন রাজ্যেও পাড়ি দিচ্ছে এলাকার সব্জি। তার সুফল পেয়েছেন এলাকার মাঝারি চাষি থেকে প্রান্তিক ছোট চাষিরাও। সেই সুফল ধরে রাখতে গত বছর থেকে আলিপুরদুয়ারের শালকুমার হাটে শুরু হয়েছে সর্বজনীন দুর্গাপুজো।
শালকুমার হাটের অলংবার নগরে মা দুর্গার বিসর্জন শেষ হতেই শুরু হয়েছে লক্ষ্মীপুজোর প্রস্তুতি। ব্যবসায়ী থেকে কৃষক, এলাকার সবাই সামিল হয়েছেন পুজোর আয়োজনে। আজ, মঙ্গলবার লক্ষ্মী পুজোর পরের দু’দিন ধরে চলবে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মেলা। পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, সব সম্প্রদায়ের বাসিন্দারাই পুজোর আয়োজনে কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
পুজো কমিটির সভাপতি হরি নার্জারি বলনে, “অলংবার মানে কুড়ি থেকে ফুল ফোটার মাঝের অবস্থা। তোর্সা নদীর পাশে এই গ্রামের বাসিন্দারা মূলত কৃষিনির্ভর। তাই ধনলক্ষ্মীর আরাধনায় বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হলেও গত বছর থেকে সর্বজনীন লক্ষ্মী পুজো শুরু হয়েছে। এ বছর মেলা আরও বড় আকার নেবে বলে আশা করছি।” এ বছর প্রায় দেড় লক্ষ টাকা পুজোর বাজেট ধরেছেন পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁরা জানান, এ বার প্রতিমা হবে প্রায় চার ফুট উঁচু। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দু’দিন ধরে মেলা চলবে। সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে। আগামী শুক্রবার শোভা যাত্রা এলাকা পরিক্রমা করে তোর্সায় দেবীর বিসর্জন হবে।
পুজো কমিটির সহ-সভাপতি গণপতি নার্জারি জানান, করলা, ধান, পাট, সর্ষে ও আলুর ফলন এ বছর বেশ ভাল হয়েছে। শালকুমার হাটের করলা-সহ অন্যান্য সব্জি ভিন্ রাজ্যে নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। ভাল ফলনের জন্য এমনিতে প্রায়ই বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো করেন বাসিন্দারা। তবে গত বছর থেকে সকলে মিলে ঠিক করা হয়েছে, দুর্গা এবং কালী পুজোর মত লক্ষ্মী পুজোর আয়োজনেও জাকজমক এবং ধুমধাম করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy