জলপাইগুড়ি ফার্মাসি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিজেপি সমর্থক ছাত্রদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া ও দলের যুব নেতার উপরে হামলার অভিযোগ উঠল টিএমসিপির বিরুদ্ধে। জখম বিজেপি যুব নেতা মানস মোস্তাফিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। যদিও টিএমসিপি নেতৃত্ব হামলার ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গোলমাল পাকাতে গিয়ে বিজেপির যুব নেতা কর্মীরা নিজেদের মধ্যে মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি যুব মোর্চা। অন্যদিকে কলেজের অধ্যক্ষও তাঁকে হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। আজ, শুক্রবার কালা দিবস পালন করবে টিএমসিপি।
বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সভাপতি জয়ন্ত চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, তাঁদের সংগঠনের ছাত্ররা এদিন মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গেলে তৃণমূলের সমর্থক ছাত্ররা বাধা দেয়। তখনকার মত ফিরে এলেও বিকেলে ফের তাঁরা মনোনয়ন জমা করতে যান। তখনই তাঁদের উপরে হামলা হয়। জয়ন্ত বাবু বলেন, “বহিরাগত তৃণমূল ছাত্র নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে বিজেপি সমর্থক ছাত্রদের বেধরক মারধর করে। আমরা পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছি। দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হবে।” যদিও জয়ন্তবাবুর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা অভিজিত্ সিংহ। তিনি বলেন,“ কলেজের পাঁচটি ছেলেও ওঁদের পক্ষে নেই। তবু আমরা বলেছি যে কেউ মনোনয়নপত্র যে জমা দিতে পারে। বিকেল চারটের পরে বিজেপি যুব সংগঠনের বহিরাগত নেতা কর্মীরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় কলেজে ঢুকে পরে। এর পরে ওঁদের নিজেদের মধ্যে গোলমালে একজন জখম হয়।”
এদিকে কলেজের অধ্যক্ষ সৌরভ সিংহ রায় জানান, বিকেলের পরে আচমকা এক যুবক তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করতে শুরু করে। এই ঘটনায় বিস্মিত তিনি। অধ্যক্ষ বলেন, “ঘটনাটি পুলিশকেও জানিয়েছি।” জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি আশিস রায় বলেন, “কর্তৃপক্ষ এবং বিজেপির যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর কলেজের ১৭ আসনের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। কলেজের অধ্যক্ষ জানান, বেলা দু’টো থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কাজ চলে। লাইনে যারা ছিল তাদের প্রত্যেকের মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপির জেলা যুব মোর্চা সভাপতির অভিযোগ, তাঁদের সমর্থক ছেলেদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা গেট আটকে স্লোগান দিয়ে তাঁদের ছেলেদের ফিরিয়ে দেয়। তাঁরা ফের মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে মারধর করা হয়। অধ্যক্ষ বলেন,“বাইরে কী হয়েছে সেটা বলা সম্ভব নয়।”