Advertisement
২০ মে ২০২৪

বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম তিন

আমবাগানে বসে বোমা বাঁধার সময় তা ফেটে যাওয়ায় গুরুতর জখম হয়েছেন তিন জন। মালদহের যদুপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটাগড় এলাকায় গৌড় মালদহ রেল স্টেশনের অদূরে রবিবার রাতে ওই ঘটনার পরে আহতদের মালদহের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ তখন ঘটনার কথা জানতে পারেনি। সোমবার পুলিশ তদন্তে নামে।

মালদহের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন এক জখম ব্যক্তি। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়

মালদহের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন এক জখম ব্যক্তি। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৩৫
Share: Save:

আমবাগানে বসে বোমা বাঁধার সময় তা ফেটে যাওয়ায় গুরুতর জখম হয়েছেন তিন জন। মালদহের যদুপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটাগড় এলাকায় গৌড় মালদহ রেল স্টেশনের অদূরে রবিবার রাতে ওই ঘটনার পরে আহতদের মালদহের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ তখন ঘটনার কথা জানতে পারেনি। সোমবার পুলিশ তদন্তে নামে।

বিজেপি দাবি করেছে, ওই ঘটনায় বোমা ফেটে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ তা অস্বীকার করেছে। বিজেপি-র দাবি, মালদহের বোমা ফাটার সঙ্গে বর্ধমানের খাগড়াখড়ের বিস্ফোরণের সম্পর্ক রয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ এ দিন কলকাতায় বলেন, “বর্ধমান, মালদহ কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সর্বত্রই পুলিশ সত্য চাপার চেষ্টা করছে।” তাঁর বক্তব্য, সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে, এদের হাতে রাজ্যবাসী কতটা সুরক্ষিত।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বোমা ফেটে ওই তিন জন আহত হয়েছেন, তা খুব উন্নত মানের নয়। বোমা বাঁধার সময়ে বিড়ি বা সিগারেটের আগুন থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে পুলিশের সন্দেহ। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি যোগসাজশ নেই বলেই আমাদের ধারণা।” তিনি জানান, কী উদ্দেশ্যে ওখানে বোমা বাঁধা হচ্ছিল, আরও কেউ সেখানে ছিল কি না, তার তদন্ত হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, আহতরা হলেন উজির শেখ, আবদুল্লা শেখ ও জসীম শেখ। সকলেই নরেন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা। বছর ত্রিশের উজির ও আবদুল্লার পরিবারের লোকজনের দাবি, তাঁরা পেশায় গাড়িচালক। সদ্য যুবক জসীম কোনও নির্দিষ্ট পেশার সঙ্গে যুক্ত নন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, স্থানীয় একটি আমবাগানের মাচায় বসে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। সেখানে আরও কয়েকজন ছিলেন। বোমা ফেটে জখম হওয়ার পর ওই তিন জনকে মালদহের গাবগাছি এলাকায় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। তখন নার্সিংহোমের তরফেও পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি। ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই তিন জনের পরিবারের লোকেরা জানায়, তাঁরা বাইক দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন। তাই পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি।

কিন্তু সোমবার সকালে পুলিশ নার্সিংহোমে পৌঁছানোর পরে আহতদের পরিবারের লোকেরা দাবি করেন, ওই তিন জন মাচায় বসে তাস খেলছিলেন। তখন তাঁদের উপর বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায় কয়েকজন বাইক আরোহী।

যদিও তাঁদের ওই দাবি মানতে রাজি নয় পুলিশ। কারণ, আহতদের শরীরের সামনের অংশ ঝলসে গিয়েছে। দূর থেকে বোমা ছোড়া হলে ওই ভাবে তাঁদের শরীরে সামনের অংশ ক্ষতবিক্ষত হওয়ার কথা নয়। ঘটনাস্থল থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের মহদিপুর ৫ কিলোমিটার দূরে। রবিবার রাত থেকেই ওইঘটনার জেরে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

maldah jadupur bomb blast
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE