সিপিএমের এক নেতার ছেলেকে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছে। তবে এই খুনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলেই পুলিশের অনুমান। সাদিকুল ইসলাম (৩৫) নামে ওই যুবককে ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার বাগধারা খাঁড়ির সেতুর নীচে ঝোপ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাড়ি তপন থানার উত্তর মহাদেবপুর গ্রামে। বাড়ি থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ফুলবাড়ি এলাকায় তাঁর কাপড়ের দোকান। তিনি ধান ও গমের অংশাদারী ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দুষ্কৃতীরা পাথর ও বাঁশ মুখে মাথায় আঘাত করে খুন করে বলে অভিযোগ। দোকান ও বাড়ির মাঝে ওই খাঁড়ির নীচে দেহটি মেলে।
নিহতের বাবা তপনের হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিএমের প্রধান হাসিমুদ্দিন সরকার। তিনি থানায় ছেলেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে কারা খুনের সঙ্গে জড়িত তিনি বলতে পারেননি। তিনি বলেন, “রোজকার মতো ফুলবাড়ির দোকান থেকে ছেলে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসে। সোমবার অনেক রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফিরছে না দেখে মোবাইলে ফোন করলে দেখা যায় সুইচ বন্ধ। রাতে খোঁজ খবর করে হদিশ মেলেনি। বাড়ির লোকজন ভেবেছিলেন ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে বন্ধুদের কারও সঙ্গে রয়েছেন।” নিহতের খুড়তুতো দাদা পিয়াস সরকার জানান, এ দিন সকালে খুঁজতে বেরিয়ে বাগধারা খাঁড়ি এলাকায় রাস্তার উপর চাপ চাপ রক্ত দেখে সন্দেহ হয়। পরে সেতুর নীচে ঝোপের মধ্যে দেহটি মেলে। মুখটি পুরো থেঁতলানো। রক্তমাখা পাথর ও বাঁশ পড়েছিল।
সিপিএম দাবি করেছে ঘটনার পিছনে রাজনীতি রয়েছে। জেলা সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হীরেন সাহা অভিযোগ করেন, “শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুনের সঙ্গে জড়িত। পুলিশকে উপযুক্ত তদন্ত করতে হবে।” তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব মিত্র বলেন, “সিপিএম ভুয়ো অভিযোগ তুলেছে। ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে ওই যুবক খুন হয়েছেন বলে শুনেছি।” গঙ্গারামপুরের এসডিপিও স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যাতে নিহত ওই ব্যবসায়ীকে চেনা না যায় সে কারণে দুর্বৃত্তেরা পাথর দিয়ে মুখ ও মাথা থেঁতলে খুন করেছে। ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে বলে এসডিপিও-র দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy