Advertisement
E-Paper

বকেয়ার দাবিতে হাইকোর্টে কর্মীরা

দীর্ঘ দিন ধরে পেনশন মিলছে না। বেতনের সম্পূর্ণ টাকাও কর্মীরা পান না বলে অভিযোগ উঠেছে। কর্মরত অবস্থায় মৃত কর্মীর পোষ্যদেরও বছরের পরে বছর ধরে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে সামান্য বেতন মিলছে। অথচ স্থায়ী কর্মীদের মতো প্রতি মাসে তাদের পে স্লিপে সই করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৪ ০২:২৮

দীর্ঘ দিন ধরে পেনশন মিলছে না। বেতনের সম্পূর্ণ টাকাও কর্মীরা পান না বলে অভিযোগ উঠেছে। কর্মরত অবস্থায় মৃত কর্মীর পোষ্যদেরও বছরের পরে বছর ধরে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে সামান্য বেতন মিলছে। অথচ স্থায়ী কর্মীদের মতো প্রতি মাসে তাদের পে স্লিপে সই করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বালুরঘাট ডিপোর ঘটনা। ওই পরিস্থিতির কথা কর্মী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সাড়া না মেলায় শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ ডিপোর বাম কর্মী সংগঠন।

সংস্থা ও কর্মীদের ইউনিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে, চার মাস ধরে বালুরঘাট ডিপোর ১৪৯ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী পেনশন পাচ্ছেন না। প্রায় দেড় বছর ধরে বালুরঘাট ডিপোর ১৬৭ কর্মীর প্রতি মাসে পুরো বেতন মিলছে না।

সিটু অনুমোদিত উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ কর্মী ইউনিয়নের ডিপো সম্পাদক অরূপ রায় বলেন, “এ যাবৎ কর্মীদের বেতনের বকেয়া টাকা সম্পূর্ণ পাওয়া যায়নি। অস্থায়ী কর্মীরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। পেনশনের খোঁজে রোজ ডিপোয় গিয়ে অশীতিপর কর্মীরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অরূপবাবুর অভিযোগ, “কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সাড়া মিলছে না। তাই কর্মীদের দুরবস্থা দেখে আমরা বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।” গত মাসে ওই ইউনিয়ন থেকে বকেয়া দ্রুত মেটানোর আর্জি জানিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি ইতিমধ্যে বিচারের জন্য গৃহীত হয়। এনবিএসটিসি কর্মীদের মামলা লড়ছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

এনবিএসটিসি-র এক ডিরেক্টর তথা তৃণমূল জেলা কার্যকরী সভাপতি বিপ্লব মিত্র অভিযোগ করেন, “বাম আমলে সংস্থার আর্থিক সঙ্কটের জেরে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবু চেষ্টা হচ্ছে সমস্যা মেটানোর। প্রথম দফায় স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়া অধিকাংশ কর্মীর বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। শীঘ্র পেনশন ও বাকি বকেয়া বেতনের অংশ মেটানোর প্রক্রিয়া চলছে।”

কর্মী সংগঠনের নেতারা জানান, দৈনিক ১৩২ টাকা মজুরিতে ২৬ দিন কাজ করে মাসের শেষে অস্থায়ী কর্মী হাতে পান ৩৪৩২ টাকা। তাতে তাঁদের সংসার চলছে না।

ডিপো সূত্রের খবর, যন্ত্রাংশ মেলে না। বাইরের দোকান থেকে যন্ত্রাংশ কিনতে গিয়ে বাজারে ১২ লক্ষ টাকা দেনা মেটানো যায়নি। বাজার থেকে যন্ত্রাংশ আর মিলছে না। তৃণমূল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ডিপো সভাপতি জাকারিয়াস সুরিন বলেন, “সমস্যার কথা নিগম চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। আশ্বাস মিলেছে। কর্মীদের মনোবল ধরে রেখে কাজে উৎসাহ দিচ্ছি।”

nbstc high court balurghat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy