E-Paper

রেকর্ড গরম কোচবিহারে, বাড়ছে অস্বস্তি

গত সাত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮, ২০১৯ সালে কোচবিহারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির সামান্য বেশি থাকলেও কোনও বার ৩৯ ডিগ্রি পেরোয়নি। শুধু শুক্রবারই নয়, কোচবিহারে গত সাত দিনের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৮ ডিগ্রি।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৪ ০৯:০২
Representative Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় সাত বছরের রেকর্ড ভাঙল কোচবিহার। শুক্রবার চল্লিশ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে জেলার তাপমাত্রা। এই অবস্থায় কৃষিতে ক্ষতি আরও বাড়ল বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবাকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার কোচবিহারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৭ ডিগ্রি। ২০১৭ সাল থেকে চলতি বছরের মধ্যে শুক্রবার, ২৪ মে জেলার তাপমাত্রা ছিল সব থেকে বেশি।

গত সাত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮, ২০১৯ সালে কোচবিহারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির সামান্য বেশি থাকলেও কোনও বার ৩৯ ডিগ্রি পেরোয়নি। শুধু শুক্রবারই নয়, কোচবিহারে গত সাত দিনের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৮ ডিগ্রি। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ মৌসম কেন্দ্রের নোডাল অফিসার শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গত সাত বছরের মধ্যে শুক্রবার কোচবিহারে সব থেকে বেশি গরম ছিল। ওই জেলায় গত এক সপ্তাহের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড়ও বেশ বেশি। যা সামগ্রিক ভাবে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব বলেই মনে হচ্ছে। সবুজায়ন, বায়ুদূষণ রোখা,পরিবেশের উপরে নানা ভাবে চাপ তৈরির প্রবণতা এড়াতে সতর্ক হতে হবে।”

ওই সেবাকেন্দ্র সূত্রেই জানা গিয়েছে, ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব উত্তরের বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প শুষে নিচ্ছে। ফলে, আর্দ্রতা কমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দিনহাটায় ফ্রিজ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের বিক্রি বেড়ে গিয়েছে। মহকুমাবাসীর বক্তব্য, স্মরণকালের মধ্যে এই রকম গরম অনুভব করেননি তাঁরা। দিনহাটা শহরের ফুলদিঘি এলাকায় এক দোকানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘‘গত কয়েক দিনের গরমে আর কষ্ট সহ্য করা যাচ্ছে না। বাড়িতে বয়স্ক মা যেমন রয়েছেন, তেমনই ছোট ছোট শিশুরা রয়েছে। চিকিৎসকেরা নানা ভাবে পরামর্শ দিচ্ছে শিশুদের এবং বয়স্কদের সাবধানে রাখার জন্য। তাই বাধ্য হয়ে ইএমআই পদ্ধতিতে এসি কিনলাম।’’ ব্যবসায়ী অসিত বসাক বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছরই এখনও পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ এসি এবং ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক দিনের যে গরম পড়েছে, তাতে বিক্রি আরও বেড়েছে।’’

দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী আবার জানান, গত কয়েক দিনের তীব্র দহনে এসি কিংবা ফ্রিজের বিক্রি কিছুটা বাড়লেও অন্যান্য ব্যবসায় কিন্তু ঘাটতি হচ্ছে। তীব্র তাপে পাট ও আনাজে ক্ষেত্রেও ক্ষতি বাড়তে শুরু করেছে। কোচবিহার জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) গোপাল মানের কথায়, ‘‘পরিস্থিতির দিকে নজর রয়েছে। বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি পাল্টাবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Cooch Behar Summer

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy