বুজেছে নালা। ফালাকাটার ডাকবাংলো রোডে রাজকুমার মোদকের ছবি।
কিছুদিনের মধ্যেই চলে আসবে বর্ষা। এতে ফের ফালাকাটা শহরের পাড়ায় পাড়ায় জল জমার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। শহর জুড়ে নতুন করে সঠিভাবে নিকাশি নালা তৈরি না হওয়ার এবং পুরানো নিকাশি নালা সংস্কার না হওয়ায় শহর জুড়ে জল জমবে বলে মনে করছে বাসিন্দারা। প্রশাসনকে বহুবার আবেদন করে ফল না মেলায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। নিকাশি নালার প্রয়োজনীয়তার কথা মেনে নিলেও বরাদ্দ না থাকায় নিকাশি নালা তৈরি করা সম্ভব নয় বলের জানিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি যতীন রায়।
সহ সভাপতির কথায়, “নিকাশি নালার জন্য তহবিল নেই। গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছেও টাকা নেই। খুব শীঘ্রই নতুন করে নিকাশি নালার জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কাছে আবেদন জানানো হবে। ১০০ দিনের কাজে আমরা কিছু ক্ষেত্রে নালা পরিস্কার করেছি। শহর থেকে যে পরিমাণ কর আদায় হয় তাতে বিদ্যুতের বিল দিতে ব্যয় হয়। নতুন করে কর কাঠামো তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে।” নতুন নিকাশি নালা তৈরি এবং সংস্কারের দাবিতে সরব হয়েছে সিপিএম। দলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য নিতাই পাল বলেছেন, “আমরা ক্ষমতায় থাকার পর বহু নিকাশি নালা তৈরি করেছিলাম। নতুন সরকারের সময় কিছু হয়নি। ময়লা জমে প্রচুর নালা ভরাট হয়েছে। বর্ষায় শহরের মানুষ নাজেহাল হবেন।”
বাসিন্দারা জানান, দিনের পর দিন শহরের আয়তন, জন সংখ্যার বেড়ে চলছে। গত পাঁচ বছরে প্রচুর বহুতল তৈরি হয়েছে। শহরের সুভাষপল্লি, দেশবন্ধুপাড়া, মাদারিরোড, হাটখোলা, নেতাজি রোড এলাকায় নতুন করে নিকাশি নালা তৈরি করা প্রয়োজন। জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত হাটখোলা এলাকায় নালা দীর্ঘ দিন পরিষ্কার না করায় সেখানকার নালা গুলিতে জঞ্জাল জমে ভরে গিয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে সে নালা উপচে নোংরা জল রাস্তায় ভরে যায়। এবারও তাই হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, অন্য বারের তুলনায় এবার পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। প্রশাসন নিকাশি নালা পরিষ্কার না করলে বৃষ্টি হলে হাঁটু সমান নোংরা জল পেরিয়ে বাসিন্দাদের বাজারে আসতে হবে। নেতাজি রোডের ব্যবসায়ীরা জানান। দীর্ঘ দিন নিকাশি নালার দাবি করলেও কোনও কাজ হয়নি। আগেও যা ছিল, নতুন সরকারের আমলেও তাই হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy