ব্যস্ততম রাস্তার পাশে, ফুটপাতের কোনও জায়গা না ছেড়েই বহুতলের নির্মাণ, যে কোনও সময়ে বড়সর দুর্ঘটনা ডেকে আনতে পারে। শিলিগুড়ির বিধানরোডের একটি নির্মাণ ঘিরেও এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে, মন্ত্রীকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে শিলিগুড়ি নাগরিক সমিতি। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে সমিতির তরফে শহরকে যানজট এবং দূষণ মুক্ত করার দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। ওই স্মারকলিপির বেশিরভাগ অংশেই বিধানরোডের ওই নির্মাণ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সমিতির আশঙ্কা, দ্রুত পদক্ষেপে করা না হলে, আগামী দিনে ওই নির্মাণ শহরে ‘বিপর্যয়ে’র সামিল হবে।
শিলিগুড়িতে চলাচলকারী অটোগুলিকে প্রাকৃতিক গ্যাস অথবা সিএনজিতে চালানোর ব্যবস্থা করার দাবিও জানিয়েছে সমিতি। সেই সঙ্গে শিলিগুড়িকে কয়েকটি ‘ট্রাফিক জোনে’ ভাগ করে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা এবং শহরের কিছু এলাকায় সুষ্ঠু পার্কিঙের বন্দোবস্ত করার জন্য মন্ত্রীকে পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে। ১৩ নভেম্বর মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখা ওই স্মারকলিপি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে জমা দিয়েছে সমিতি। রবিবার মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, “সমিতির স্মারকলিপি এখনও হাতে আসেনি। তবে যা বিষয়বস্তু শুনলাম, তা আমাদেরও লক্ষ্য। সবুজ, স্বচ্ছ এবং যানজটমুক্ত শিলিগুড়ি গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যেই আমরা পদক্ষেপ শুরু করেছি। এতে সকলের সহযোগিতা চাই।” গৌতমবাবুর দাবি, সমিতির সদস্যদের তিনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। দাবি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও মন্ত্রীর দাবি।
সমিতির দাবি, শিলিগুড়ি শহরের অন্যতম সমস্যা যানজট। শহরের ব্যস্ততা এবং পরিধি দুই’ই বাড়ছে। শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা হাসমিচক লাগোয়া বিধানরোডে বির্তকিত বহুতল নির্মাণে রাস্তার পাশে কোনও জায়গাই ছাড়া হয়নি বলে অভিযোগ। রাস্তা যেখান থেকে শেষ হয়েছে সেখান থেকেই ভবনের সিড়ি ওঠার জায়গা তৈরি হয়েছে বলে পথচারীদের দাবি। এর ফলে রাস্তার এক দিকে পথচারীদের চলাচলের কোনও জায়গাই নেই।
এসজেডিএ-এর থেকে জমি লিজ নিয়ে একটি ব্যবসায়ীক সংস্থা বিধানরোডে বাণিজ্যিক ভবন তৈরি শুরু করে বলে জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে ভবন তৈরি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি ওঠে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক দুর্গা সাহা বলেন, “ওই ভবনের সামনেই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম। সেখানে নিয়মিত জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক পর্যায়ের খেলা হয়, প্রচুর ভিড় হয়। অথচ স্টেডিয়ামের সামনেই রাস্তা ক্রমশ সরু হয়ে গিয়েছে। কার্যত রাস্তার উপর থেকেই বিতর্কিত নির্মাণ শুরু হয়েছে।” দুর্গাবাবুর আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে কোনও আপদকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে রাস্তার আয়তন এবং বহুতল নির্মাণের কারণে তা বড়সর বিপর্যয়ের আশঙ্কা নিতে পারে। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। তিনি বলেন, “মন্ত্রীর কাছে আর্জি ওই নির্মাণ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।” নির্মাণকারী সংস্থা অবশ্য দাবি করে আসছে, এসজেডিএ-এর সঙ্গে নির্মাণ নিয়ে চুক্তি হয়েছিল। সে সময় থেকে ভবনের জন্য ব্যয় করা অর্থ ফেরত্ দিলে তারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে রাজি আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy