তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রার্থীর সমর্থনে তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক সংগঠনের ডাকা সভায় হাজির থাকার অভিযোগে নিবার্চন বিধি লঙ্ঘন হয়েছে, এই অভিযোগে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে শো কজ করেছেন মালদহের জেলাশাসক তথা জেলা নিবার্চনী আধিকারিক শরদ দ্বিবেদি।
সোমবার জেলাশাসক মালদহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে শোকজ পাঠিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চান। জেলাশাসক অধ্যক্ষের কাছে জানতে চান, কেন আপনার বিরুদ্ধে নিবার্চনী বিধি লঙ্ঘনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?
এ ব্যাপারে জেলাশাসক বলেন, চিকিৎসক সংগঠনের সভা ছিল রাজনৈতিক। সেই সভায় কোনও সরকারি আধিকারিক যেতে পারেন না। একটি রাজনৈতিক দলের চিকিৎসক সংগঠনের সভায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ গিয়ে নিবার্চন বিধি লঙ্ঘন করেছেন। বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে শো কজ করা হয়েছে। শো-কজের উত্তর পাওয়ার পর নিবার্চন কমিশনে রিপোর্ট করব। এর পর নিবার্চন কমিশন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।” জেলাশাসক জানান, ওই সভায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের যে সমস্ত আধিকারিকরা হাজির ছিলেন তাঁদেরও চিহ্নিত করে নোটিস পাঠানো হবে। তবে মালদহ মালদহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শৈবাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি এ ব্যাপারে কোনও কথা বলব না।”
রবিবার তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠন প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের মালদহ শাখার পক্ষ থেকে টাউন হলে দক্ষিণ মালদহ ও উত্তর মালদহের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন ও সৌমিত্র রায়ের সমর্থনে সভা ডাকা হয়েছিল। সেই সভায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী হাজির ছিলেন।
সভায় সরকারি গাড়ি নিয়ে হাজির ছিলেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সহ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক কর্তা। দর্শক আসনে নয়, মঞ্চে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর পিছনের চেয়ারে সভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বসেছিলেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শৈবাল মুখোপাধ্যায়। কেন এই সভায় যোগ দেন? সেই সময়ে অধ্যক্ষ জানিয়েছিলেন, তিনি ওই সংগঠনের সদস্য নন। তবে উদ্যোক্তারা ডাকায় তিনি গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন।
এ দিকে তাদের ডাকা সভায় এসে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ নিবার্চন বিধিভঙ্গের রোষে পড়ার ব্যাপারে প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি তাপস চক্রবর্তী বলেন, “আমরা তো প্রকাশ্যে কোনও প্রার্থীর সমর্থনে সভা করিনি। একটি বন্ধ ঘরে সংগঠনের সভা করেছি। সেই সভায় সবাই আসতে পারেন। আমরা অধ্যক্ষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। অধ্যক্ষ সেখানে যোগ দিয়ে কোনও ভুল করেননি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy