Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মোর্চা নেতাদের গ্রেফতারির প্রতিবাদ করবে বিজেপি

লোকসভা ভোটের আগে পুরোনো মামলায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাতে নির্বাচন কমিশনে যাবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিকে পাশে বসিয়ে বুধবার শিলিগুড়িতে এমনই জানিয়েছেন দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৪ ০২:০৪
Share: Save:

লোকসভা ভোটের আগে পুরোনো মামলায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাতে নির্বাচন কমিশনে যাবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিকে পাশে বসিয়ে বুধবার শিলিগুড়িতে এমনই জানিয়েছেন দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের নামে ‘দোহাই’ দিয়ে পুরোনো মামলায় মোর্চা নেতাদের গ্রেফতার যেমন করা হচ্ছে, তেমনিই পুরোনো মামলা খুঁচিয়েও তোলা হচ্ছে। এই ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে অহলুওয়ালিয়া বলেন, “২০১১ সালে রাজ্য সরকার যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছিল, তাতে বলা হয়েছিল গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনের সময় দায়ের করা মামলাগুলি নিয়ে ভবিষ্যতে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। অথচ ভোটের আগে কমিশনের দোহাই দিয়ে জোর করে পুরোনো মামলা খুঁচিয়ে তোলা হচ্ছে। অথচ গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলনে ছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা পুরোনো মামলাগুলি কিন্তু ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। পক্ষপাতের সব তথ্য নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতারা নির্বাচন কমিশনে যাবেন।”

বিজেপির প্রচার চালাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন চার দফায় রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হওয়া অহলুওয়ালিয়া। প্রার্থী ঘোষণার পরে এ দিনই প্রথমবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রে এলেন তিনি। শিলিগুড়ির একটি ভবনে কর্মিসভা করে দার্জিলিং রওনা হওয়ার কথা ছিল প্রার্থীর। যদিও, প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় সেই কর্মিসভা একেবারে শেষ সময়ে বিজেপি বাতিল করে দেয়। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, “রাজ্য সরকারই কর্মিসভার অনুমতি দেয়নি। আমাদের দলের হুগলির প্রার্থী চন্দন মিত্রের প্রচারের হোর্ডিংও লাগাতে দেওয়া হচ্ছে না, কোথাও হোর্ডিং খুলে দেওয়া হচ্ছে। এ সব তো আর পাড়ার মাস্তানরা করছে না, উর্দিধারীরা করছেন। আর উর্দিধারীরা কাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সকলেই জানেন।” যদিও শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগ মোহন জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী সভার ৭২ ঘণ্টা আগে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামুলক হলেও, বিজেপির তরফে সভার আগের রাতে অনুমতি চাওয়া হয়। পাহাড় এবং ডুয়ার্সের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজ্য বা কেন্দ্র কোনও সরকারই পদক্ষেপ করেনি বলে বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE