বাগান রুগ্ণ বলে মালিক পক্ষ দুই কিস্তিতে বোনাস দেওয়ার কথা জানানোয় ডুয়ার্সের মধু চা বাগানের ক্ষুব্ধ চা শ্রমিকরা বাগান বন্ধ করে কালচিনিতে মালিকের বাড়ির সামনে অবস্থানে বসেন। বেলা ১০ টা থেকে বিকেল প্রায় ৪টে পর্যন্ত অবস্থান হয়। পরে বিডিও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলে দুপুর ৩টে নাগাদ ফিরে যান শ্রমিকরা। পরে রাতে বাগানের ম্যানেজার থানায় গিয়ে বাগান বন্ধের নোটিস দিয়ে এসেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সন্ধ্যায়, কালচিনি ব্লকের মধু চা বাগান কর্তৃপক্ষ চা বাগানে নোটিস ঝুলিয়ে জানান, শ্রমিকদের প্রাপ্য ১২ শতাংশ বোনাস তাঁরা দুই কিস্তিতে দেবেন। প্রথম কিস্তি পুজোর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয় কিস্তি ২৫ ডিসেম্বর। এর পরে চা বাগানের মালিকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। কয়েক জন শ্রমিক কথা বলতে তিনতলায় উঠলেও গেটে তালা দেওয়া ছিল। পুলিশ গিয়েও কারও খোঁজ পায়নি। আলিপুরদুয়ারের সহকারী শ্রম আধিকারিক বিশ্বজিত্ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বোনাস নিয়ে সমস্যার কথা শুনেছি। শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করব। বিষয়টি নিয়ে বাগানের মালিককে বার বার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।” চা বাগানের শ্রমিক নির্মল লোহার, পঞ্চমণি তিরকে, মনোজ ইন্দোয়াররা জানান, ২০১১ থেকে ৬ মাসের বেতন ও রেশন বকেয়া রয়েছে। গত বছরেও বাগান কর্তৃপক্ষ দু-কিস্তিতে বোনাস দেয়। তৃণমূল চা শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক অনিরুদ্ধ গোস্বামী বলেন, “বোনাস এক কিস্তিতে দেওয়ার দাবি আমরাও তুলেছি। তবে কিছু শ্রমিক মালিকের বাড়ি ঘেরাও করেছে। এটাকে আমরা সমর্থন করছি না।” ডুয়ার্স চা বাগান ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নেতা রামকুমার লামা বলেন, “এক বারে পুরো বোনাসের দাবিটা ন্যায্য। তবে মালিকের বাড়ি যাওয়াটা ব্যক্তি আক্রমণের মধ্যে পড়ে যায়। এটা না করে অন্য ভাবে আন্দোলন করলে ভালো হত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy