চলছে বৈঠক। শনিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে একযোগে যুক্তমঞ্চ গড়ে আন্দোলনের ডাক দিল চা শ্রমিকদের সংগঠনগুলি। বৈঠকের পরে আন্দোলনের কর্মসূচির কথাও জানানো হয়েছে।
একমাত্র তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠন ছাড়া বাকি সমস্ত চা শ্রমিক সংগঠন শনিবার ডুয়ার্সের চালসায় চা কর্মচারি ভবনে বৈঠকে বসে। দুপুর দু’টো থেকে সাড়ে পাঁচটা অবধি চলে বৈঠক। সতেরোটি সংগঠনের মিলিত কো-অর্ডিনেশন কমিটি, চারটি শ্রমিক সংগঠনের ইউনাইটেড টি প্লান্টেশন ইউনিয়ন এবং আদিবাসী বিকাশ পরিষদ, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও এসইউসির শ্রমিক সংগঠনগুলির মত ২৫টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের শেষে শ্রমিক সংগঠনগুলির নেতারা জানান, ১৮ জুন শিলিগুড়ির ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বাগান মালিকদের পক্ষ থেকে দেওয়া ২১ টাকা মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব অত্যন্ত সম্মানহানিকর। আগামী ৮ জুলাই-এর মধ্যে শ্রম দফতর ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকবে। সেই সময়ের মধ্যে দ্রুত মালিকপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করতে তিন দফা কর্মসূচির প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ জুন দার্জিলিং এবং তরাই ডুয়ার্সের প্রতিটি বাগানে সভা, গেট মিটিং হবে। ৩ জুলাই একসঙ্গে দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, বাগডোগরা, মালবাজার, বানারহাট এবং কালচিনিতে সমাবেশ করা হবে। এ ছাড়াও চা শ্রমিকদের অবস্থার কথা তুলে ধরতে লিফলেট বিলি করা হবে। কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষে চিত্ত দে, জিয়াউল আলম, ও ইউনাইটেড টি প্ল্যান্টেশন ইউনিয়নের মুখ্য আহ্বায়ক অনুরাধা তলওয়ার জানান, চা বাগানের মালিকরা কিসের ভিত্তিতে মজুরি বাড়াবে, তার কোনও কোনও নীতি নেই। তাই প্রতিবছর সাত টাকা করে তিন বছরে ২১ টাকা মজুরি বাড়ানোর প্রস্তাব রেখেছেন তারা। তাই যুক্তমঞ্চ তৈরি করে আন্দোলনে নামা হচ্ছে।
মঞ্চের পক্ষ থেকে জিয়াউল আলম আশা প্রকাশ করেন, তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠনও দ্রুত মঞ্চে যোগ দেবে। তবে তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠন তরাই ডুয়ার্স প্ল্যান্টেশন ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক বাদল দাশগুপ্ত জানিয়ে দেন, গেটমিটিং, জনসভা করার থেকে তাদের সংগঠনের শ্রমিকদের বিরত থাকার নির্দেশ পাঠানো হবে। কারণ এ সময় চা শিল্পের ভরা মরশুম। চা শিল্পের ক্ষতি করে আন্দোলনে তাঁরা বিশ্বাস করেন না। রাজ্য সরকার নিশ্চয়ই সঠিক সমাধানসূত্র বার করবে বলেও তাঁর আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy