Advertisement
০৯ মে ২০২৪

মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রহার, টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

দলীয় তহবিলের জন্য ২ কোটি টাকা চেয়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী হুমকি দিয়েছেন বলে ৭ মাস আগে থানায় অভিযোগ করেন মালদহের এক আয়কর আইনজীবী। সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে সোমবার সঞ্জয় শর্মা নামে ওই আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকে কৃষ্ণেন্দুবাবু তাঁর পরিজনদের মারধর এবং খুনের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৩২
Share: Save:

দলীয় তহবিলের জন্য ২ কোটি টাকা চেয়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী হুমকি দিয়েছেন বলে ৭ মাস আগে থানায় অভিযোগ করেন মালদহের এক আয়কর আইনজীবী। সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে সোমবার সঞ্জয় শর্মা নামে ওই আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকে কৃষ্ণেন্দুবাবু তাঁর পরিজনদের মারধর এবং খুনের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠল।

জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি কাউন্সিলর প্রতিভা সিংহও তখন কৃষ্ণেন্দুবাবুর সঙ্গে ছিলেন বলে অভিযোগ। কৃষ্ণেন্দুবাবু তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় সওয়া দু’লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছেন বলেও ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ করেছেন সঞ্জয়বাবু। পুলিশ রাত পর্যন্ত কৃষ্ণেন্দুবাবু ও প্রতিভাদেবীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না।”

মন্ত্রী তথা ইংরেজবাজারের পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুবাবুর দাবি, সব অভিযোগই মিথ্যা। তিনি জানান, পুরসভার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সঞ্জয়বাবু নিজের বাড়িতে অবৈধ নির্মাণ শুরু করেছেন। মন্ত্রীর বক্তব্য, এ দিন ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে ওই নির্মাণ চলতে দেখে তিনি সঞ্জয়বাবুর বাড়িতে ঢোকেন। সে সময় সঞ্জয়বাবুর পরিবারের এক সদস্য মন্ত্রীর গায়ে হাত দেন বলে অভিযোগ। তবে কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “সেই ঘটনার জন্য ওই আইনজীবীর আত্মীয় আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় আমি থানায় অভিযোগ করিনি। ওঁদের ক্ষমা করে দিয়েছি।” প্রতিভাদেবী জানান, সঞ্জয়বাবুর বাড়িতে ঢুকে মন্ত্রী হেনস্থা হয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়তে এলাকার বহু লোকজন ছুটে যান। তিনি বলেন, “তখন মন্ত্রীই উত্তেজিত জনতার হাত থেকে সঞ্জয়বাবুকে বাঁচিয়েছেন।”

তবে সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, এ দিন বেলা ১০টা নাগাদ মন্ত্রী, কাউন্সিলর সহ শতাধিক লোক বাড়িতে ঢুকে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়ে তাঁর পরিজনদের মারধর করেন। তাঁর স্ত্রীকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন অবশ্য বলেন, “মন্ত্রী কারও বাড়িতে ঢুকে মারধর করেছেন, টাকা ছিনতাই করেছেন, এটা আমি বিশ্বাস করি না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE