Advertisement
১৮ মে ২০২৪

রক গার্ডেন সাজবে জিটিএ

এলাকায় প্রভাব বাড়তেই রকগার্ডেন এবং গঙ্গামাইয়া পার্ককে নতুন করে সাজিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিলেন গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) চিফ বিমল গুরুঙ্গ। ২০০৯ সালে আয়লায় বিধ্বস্ত হয় দুটি পার্কই। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় দু’টি জায়গাতেই পর্যটকদের সংখ্যা কমে যায়। শুক্রবার এলাকাগুলি ঘুরে দেখার পর এগুলিকে সাজানোর ব্যাপারে নতুন পরিকল্পনার কথা জানান জিটিএ চিফ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৩৪
Share: Save:

এলাকায় প্রভাব বাড়তেই রকগার্ডেন এবং গঙ্গামাইয়া পার্ককে নতুন করে সাজিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিলেন গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) চিফ বিমল গুরুঙ্গ। ২০০৯ সালে আয়লায় বিধ্বস্ত হয় দুটি পার্কই। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় দু’টি জায়গাতেই পর্যটকদের সংখ্যা কমে যায়।

শুক্রবার এলাকাগুলি ঘুরে দেখার পর এগুলিকে সাজানোর ব্যাপারে নতুন পরিকল্পনার কথা জানান জিটিএ চিফ। রকগার্ডেন-এ পর্যটন মরশুমে প্রতিদিন দু’ হাজার পর্যটক একসময় ভিড় জমালেও সংখ্যাটা এখন বছরে দু’ হাজারে দাঁড়িয়েছে। আর গঙ্গামাইয়া পার্কে রোজ ২০/২৫ জনের বেশি ভিড় হয় না।

গুরুঙ্গ বলেন, “পাঁচবছর আগেও পর্যটকদের কাছে রকগার্ডেন বা গঙ্গামাইয়া পার্কের যে আকর্ষণ ছিল, তা এখন আর নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেও তা কমে গিয়েছে।” তিনি জানান, রক্ষণাবেক্ষণ এবং দেখভালের অভাবে দুটি পার্কেরই অবস্থা খারাপ হয়েছে। আমরা নতুন করে এলাকাগুলি সাজাব। এতে পর্যটক আকর্ষণ ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। জিটিএ-র ব্লুমফিন্ড-রিশিহাট আসনের সদস্য বিনয় তামাঙ্গ বলেন, “কেন্দ্রীয় সাহায্যে প্রায় ৩০ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যাবে।”

জিটিএ সূত্রের খবর, রকগার্ডেন, গঙ্গামাইয়া পার্ক এবং সিদ্রাপং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে ঘিরে প্রকল্পটি তৈরি করা হচ্ছে। এই এলাকাগুলি শৈলশহর থেকে ৯-১১ কিলোমিটারের মধ্যে। দিনভর যাতে পর্যটকেরা এসে এই দুই জায়গায় সারাদিন কাটাতে পারেন, এবার সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরমধ্যে অন্যতম বাতাসিয়া থেকে রকগার্ডেন পর্যন্ত রোপওয়ে সার্ভিস চালু। ঝালং, বিন্দুর মত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকাটিতেও পর্যটকেরা যাতে ঘুরতে পারেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোর্চা সূত্রের খবর, রকর্গাডেন ও গঙ্গামাইয়া এলাকাটি বরাবর জিএনএলএফের শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত। মোর্চার উত্থানের পরেও ওই এলাকায় জিএনএলএফের ‘দাপট’ ছিল। প্রতিবছর দলের নানা অনুষ্ঠান রকগার্ডেন এলাকাতেই করেন জিএনএলএফ কর্মীরা। গত মাসেই ওই এলাকায় জিএনএলএফ সমর্থক ৭৭টি পরিবার মোর্চায় যোগ দেন। তাঁরা মোর্চা সভাপতিকে এলাকাগুলি নতুন সাজানোর আবেদন জানান। সেই মতন মোর্চা সভাপতির ইচ্ছানুসারে এলাকাগুলি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গুরুঙ্গ অবশ্য জানান, “আমরা আগেই কাজ শুরু করব ভেবেছিলাম। কিন্তু এলাকায় অনেক দলের লোকজন ছিল। কাজ নিয়ে গোলমালের আশঙ্কা ছিল। এখন সেই পরিস্থিতি নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

jta darjeling
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE