বছর ছয়েকের বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়ি আদালতের এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বেলা ৯ টা নাগাদ শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া এলাকায় তা নিয়ে হইচই হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই আইনজীবীকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন বাসিন্দারা। পরে বালিকার পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত আইনজীবীর নাম জগদীশ রায়। ওই বালিকা তাঁর দূর সম্পর্কের মাসির মেয়ে। বালিকার পরিবারে এক সময় তিনি থাকতেন। তবে বর্তমানে মাসির বাড়ির কাছে আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন জগদীশবাবু। এ দিন অভিযোগ মেলার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বালিকাকে ডাক্তারি পরীক্ষারয় পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ দিন আদালত চত্বরে গুঞ্জন ওঠে। বালিকার বাবা পেশায় অটোর চালক। তাঁর অভিযোগ, মেয়েকে পড়ানোর নাম করে মাঝে মধ্যেই দূর সম্পর্কের ভাগ্নে জগদীশ তার ঘরে নিয়ে যেত। দিন কয়েক আগেও ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। সে সময় মেয়েকে জগদীশ ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। বালিকার পরিবারের লোকেরা জানান, আগেও কয়েক বার এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের সন্দেহ। তবে এ বার মেয়ের আচরণ অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। সে অসুস্থ হয়ে যায়। তাতে বালিকার মার সন্দেহ হয়। তিনি মেয়ের সঙ্গে নানা কথা বলে সমস্যা জানতে চেষ্টা করেন। প্রথমে না বললেও পরে বালিকা ধীরে ধীরে ঘটনার কথা বলেছে। এর পরেই এ দিন তা নিয়ে অভিযোগ তোলেন পরিবারের লোক। বালিকার বাবার দাবি, “অভিযুক্তকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।”
শিলিগুড়ি আদালতের আইনজীবী উদয় মালাকারের জুনিয়র হিসাবে কাজ করনে জগদীশবাবু। তিনি বলেন, “বালিকা স্কুল করছে। তার সমস্ত কিছু স্বাভাবিক রয়েছে। জগদীশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। জগদীশের দাবি ডাক্তারি পরীক্ষা হলেই ও যে নির্দোষ তা প্রামাণিত হবে।” শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন নির্বাচিত সভাপতি সুবল চন্দ্র বণিক অবশ্য বলেন, “অভিযোগের বিস্তারিত জানা নেই। তাই না জেনে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।” তৃণমূলের লিগ্যাল সেলের আইনজীবী পীষূষ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “অভিযোগ যখন উঠেছে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy