Advertisement
E-Paper

স্কুলের মধ্যেই সহপাঠীকে ছুরি

স্কুলের মধ্যেই বচসার জেরে এক সহপাঠীকে ছুরির আঘাতে জখম করার অভিযোগ উঠল নবম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়ি থানার মহাকালপল্লির মহানন্দা বিদ্যামন্দির স্কুলে এই ঘটনার পরে পুলিশ জানিয়েছে, জখম ছাত্রটির বাড়ি শহরের দশরথপল্লিতে। তার পেটে একাধিক ছুরির আঘাত রয়েছে। রাত অবধি পেটে সাতটি সেলাই পড়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৩৩

স্কুলের মধ্যেই বচসার জেরে এক সহপাঠীকে ছুরির আঘাতে জখম করার অভিযোগ উঠল নবম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়ি থানার মহাকালপল্লির মহানন্দা বিদ্যামন্দির স্কুলে এই ঘটনার পরে পুলিশ জানিয়েছে, জখম ছাত্রটির বাড়ি শহরের দশরথপল্লিতে। তার পেটে একাধিক ছুরির আঘাত রয়েছে। রাত অবধি পেটে সাতটি সেলাই পড়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে ঠিক কী নিয়ে গোলমাল, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। অভিযুক্ত ছাত্র ও তার বাড়ির লোকজনের খোঁজ করা হচ্ছে।”

পুলিশ ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন স্কুলে নবম শ্রেণির অঙ্ক পরীক্ষা ছিল। দুপুর আড়াইটেয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কিছু ছাত্র স্কুলেই জটলা করে গন্ডগোল করছিল। তারা হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়ে। কয়েকজন শিক্ষক তাদের ধমক দিয়ে সরিয়ে দেন। এর পরেই স্কুলের একটি খালি ক্লাস রুমের মধ্যে ছুরি মারার ঘটনাটি ঘটে। শিলিগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রটি বলে, “অভিযুক্ত সহপাঠী কয়েকজনের সঙ্গে গোলমাল করছিল। আমি সামনে পড়ে যাওয়ায় আমাকে ধাক্কা দেয়। আমিও পাল্টা ধাক্কা দিতেই ও আমাকে পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় আমি কোনওক্রমে পালিয়ে শিক্ষকদের কাছে যাই।”

এর পরে স্কুলে শিক্ষকেরা ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রধান শিক্ষক উত্তম দাস এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, “স্কুলের পরীক্ষার পর শিক্ষকেরা দ্বিতীয় অর্ধে দশম শ্রেণির পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তার মাঝখানে কী হয়েছে তা এখনও ঠিকঠাক জানা যায়নি। এক ছাত্র রক্তাক্ত অবস্থায় আসতেই আমরা ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।” তিনি জানান, স্কুলের কিছু ছাত্রের আচরণ ঠিকঠাক নেই। পুলিশকে সব জানানো হয়েছে। আর তাঁরাও বিষয়টি দেখছেন। আহত ছাত্রের বাবা এদিন বলেন, “আমার ছেলের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা ভবিষ্যতে অন্য কারও সঙ্গে ঘটতে পারে। তাই দোষীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে কড়া শাস্তি দেওয়া দরকার।”

school frnd siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy