ছাত্র ভর্তির সময়ে ‘তোলাবাজি’র প্রতিবাদ করায় দলেরই এক সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে কোচবিহারের দিনহাটা কলেজের ছাত্র সুশান্ত দাস স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেন, টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরী ও তাঁর অনুগামীরা তাঁকে মারধর করেছেন। সাবির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেও তৃণমূল যুবার স্থানীয় নেতা অজয় রায় দাবি করেছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছেন সুশান্ত। আহত সুশান্তকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল। বুধবারেও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তবে এ দিন পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।” তৃণমূলের অন্দরের খবর, টিএমসিপি-র অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সাবির কলকাতা চলে গিয়েছেন।
সুশান্তর দাবি, দিনহাটা কলেজে মাসখানেক আগে ভর্তি চলার সময়ে কয়েক জন ছাত্রকে অনার্স পাইয়ে দিতে টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি এবং তাঁর অনুগামীরা টাকা তুলছিলেন। সুশান্ত তখন তাঁর প্রতিবাদ করেন। তাঁর অভিযোগ, “সে সময় আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন সাবির।” পুঁটিমারি এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, সোমবার রাতে জন্মাষ্টমীর মেলা থেকে এক ভাইকে নিয়ে ফেরার সময় সাবির এবং তাঁর দলবল তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ান। প্রতিবাদ করতেই সুশান্তকে কাঠের বাটাম দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ।
সাবিরের দাবি, “মেলায় একটা গণ্ডগোলের কথা শুনেছি। কিন্তু তার সঙ্গে টিএমসিপি বা আমার কোনও সম্পর্ক নেই।” তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, জেলায় অজয়বাবুর নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর সঙ্গে সাবির চৌধুরীর গোষ্ঠীর বিবাদ রয়েছে। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি গোস্বামীর দাবি, “টাকা তোলা নিয়ে টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই গোলমাল হয়েছে।” তবে তৃণমূলের কোনও স্তরেই গোষ্ঠী বিবাদ নেই বলে দাবি করেছেন দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy